Ticker

6/recent/ticker-posts

"ডাইং এর পূর্বে যে ধাপগুলো অবশ্যই অতিক্রম করা প্রয়োজন"


টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে ডাইং, ফেব্রিকের একটি অন্যতম প্রক্রিয়া। উইভেন অথবা নিট সেকশনের পরেই মূলত ফেব্রিককে ডাইং এর জন্য প্রস্তুত করা হয়। তবে ফেব্রিক ডাইং এর পূর্বে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয় যা প্রি-ট্রিট্মেন্ট নামে পরিচিত।  ডাইং এ শতভাগ সফল পারফরমেন্স পাওয়ার জন্য  প্রি-ট্রিটমেন্টের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। 

ফ্লো চার্ট অনুসারে প্রি-ট্রিট্মেন্টের বিভিন্ন ধাপ নিয়ে নিম্নে বিশদভাবে আলোচনা করা হলঃ-

গ্রে-ফেব্রিক পরীক্ষ্ণঃ-
লুম অথবা নিটিং মেশিন থেকে পাওয়া ফেব্রিককে ইন্সপেকশন টেবিলে রাখা হয়ফেব্রিকে কোন খুঁত  যেমনঃ ব্রেকেজ,পিক,নেপ্স ইত্যাদি থাকলে তা দূর করা হয়। ইহা হাতে অথবা মেশিনে করা হয়ে থাকে

স্টিচিং:-
কখনো কখনো লুম থেকে পাওয়া ওভেন ফেব্রিক পর্যাপ্ত পরিমান লম্বা না হওয়ার কারনে ইহাকে সেলাই করে প্রয়োজন মতো লম্বা করে ফেব্রিকের সাথে যোগ করা হয়

সিনজিং:-
সিনজিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আগুনের শিখার সাহায্যে ফেব্রিকের পৃষ্ঠেতলে লেগে থাকা ছিদ্র ,লোমযুক্ত ফাইবার ,প্রজেক্টিং ফাইবার পুড়িয়ে ফেলা হয়এই ছোট ফাইবার গুলো দূর করার জন্য গ্যাসের শিখা বা  গরম  প্লেট ব্যবহার করা হয়ইহার নিম্ন লিখিত উদ্দেশ্য রয়েছে-

)ফেব্রিকের ছোট ফাইবার গুলোকে দূর করা
) আগের তুলনায় কাপড়কে আরো বেশি মসৃণ করা হয়
) সিনজিং এর ফলে ফেব্রিকের রাবিং ফাস্টনেশ এবং ওয়াশিং  ফাস্টনেশ বৃদ্ধি পায়
) ফেব্রিককে পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত করা হয়



চিত্রঃ সিনজিং এর পূর্বে এবং পরে (গুগল)
ডিসাইজিং:-
সাধারনত সাইজ ম্যাটেরিয়াল দূর করার  জন্য ডিসাইজিং করা হয় অতিরিক্ত সারফেশ টেনসনের জন্য ওয়ার্প  ইয়ার্ণ  যাতে ছিঁড়ে না যায় সেজন্য  ওয়ার্প  ইয়ার্ণ  এ সাইজ ম্যাটেরিয়াল লাগানো হয় ডিসাইজিং করার জন্য ডিসাইজিং ট্যাংকে ১:১০ লিকার  অনুপাতে একটি রেসিপি তৈরী করা হয় এরপর ফেব্রিককে ডিসাইজিং ট্যাংকে ডুবানো হয় এবং সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে সাইজ ম্যাটেরিয়াল দূর হয় 

 
স্কাউয়ারিং:-
ফেব্রিকের মধ্যে থাকা বিভিন্ন অপদ্রব্য দূর করার জন্য স্কাউয়ারিং করা হয় এই অপদ্রব্য বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমনঃ অয়েল, ওয়াক্স, ফ্যাট , প্রাকৃতিক  অপদ্রব্য ইত্যাদি অর্থাৎ ফেব্রিককে অপদ্রব্য মুক্ত করাই স্কাউয়ারিং এর কাজ স্কাউয়ারিং এ সাধারনত কায়ার বয়লার স্কাউয়ারিং মেশিন ব্যবহার করা হয় এক্ষেত্রে বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যেমনঃ কস্টিক সোডা , সোডা এশ , সিকুইস্টারিং এজেন্ট এবং ওয়েটিং এজেন্ট 
কস্টিক সোডা এক ধরনের শক্তিশালী ক্ষার যা শক্তিশালী  অপদ্রব্য দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং পি এইচ নিয়ন্ত্রন করে  


চিত্রঃ স্কাউয়ারিং এর পূর্বে এবং পরে (গুগল)

ব্লিচিং:-
ব্লিচিং এর মুল কাজ হচ্ছে ফেব্রিকের প্রাকৃতিক কালার দূর করে ফেব্রিককে  সাদা করা ফেব্রিকের উপর ভিত্তি করে ব্লিচিং ট্যাংকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরী করা হয় ব্লিচিং এ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যেমনঃ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, স্ট্যাবিলাইজার, সোডা এশ ইত্যাদি



চিত্রঃ ব্লিচিং এর পূর্বে এবং পরে (গুগল)

মার্সেরাইজিং:-
হাই কোয়ালিটির ফেব্রিকের জন্য মার্সেরাইজিং করা হয় এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেব্রিকের লাসচার, ডাই এবসোরবেন্সি এবং স্ট্রেন্থ বৃদ্ধি করা হয় ক্ষারীয় মাধ্যমে মার্সেরাইজিং করা হয়


চিত্রঃ মার্সেরাইজিং এর পূর্বে এবং পরে (গুগল)

ওয়াশিং:-
ওয়াশিং হচ্ছে সাধারন একটি প্রক্রিয়া সাধারনত স্কাউয়ারিং, ডিসাইজিং,ব্লিচিং ইত্যাদি প্রত্যেকটি ধাপ শেষ করার পর ওয়াশিং করা হয় ফেব্রিককে সম্পুর্ণরুপে পরিষ্কার করাই হচ্ছে ওয়াশিং এর কাজ ওয়াশিং এর পরেই ফেব্রিককে ডাইং এর জন্য প্রস্তুত করা হয়



*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত   



Post a Comment

0 Comments