বায়োপলিশিং:
বায়োপলিশিং
একটি কেমিক্যাল প্রসেস যেখানে এনজাইম ব্যবহার করে টেক্সটাইল ম্যাট্যারিয়ালের হেয়ারিনেস দুর করা হয়। টেক্সটাইল ম্যাটারিয়েলের হেয়ারিনেস দূর করার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে। যেমনঃ
১।
সিনজিং
২।
এনজাইম ওয়াশ
চিত্রঃ বায়োপলিশিং এর পূর্বে এবং পরে (গুগল)
সিনজিং:
ওভেন ফেব্রিকে সিনজিং খুবই জনপ্রিয়।
তিন
ধরনের সিনজিং
মেশিন রয়েছে। যেমনঃ
- গ্যাস সিনজিং মেশিন
- রোলার সিনজিং মেশিন ও
- প্লেট সিনজিং মেশিন
এর
মধ্যে গ্যাস সিনজিং মেশিন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। গ্যাস সিনজিং মেশিনে দুইটি বার্নার থাকে, যেখানে ফ্লেমের মাধ্যমে ওভেন ফেব্রিকের হেয়ারি ফাইবার গুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ওভেন ফেব্রিকে সিনজিং করার পর ডিসাইজিং করা হয়, যার ফলে ফ্লেম ফেব্রিকের ভেতরে থাকে না। যে সব ফেব্রিকের জি.এস.এম ১২০
এর
নিচে সেসব ফেব্রিকে সিনজিং করা হয়। কারন
ফেব্রিকের জি.এস.এম
১২০ এর কম হলে, এনজাইম ওয়াশ করলে তা হেয়ারি ফাইবারকে ডেমেজ করার পর ফাইবার কেও ডেমেজ করা শুরু করে , তাই সিনজিং করা হয়। পলিস্টার ফেব্রিকে এনজাইম ওয়াশ না করে সিনজিং করা হয়। কারন এনজাইমের প্রতি পলিস্টার ফেব্রিকের কোন আসক্তি না থাকার কারনে তা পলিস্টারের হেয়ারি ফাইবার গুলোকে ডেমেজ করতে পারে না, তাই পলিস্টার ফেব্রিকে সিনজিং করা হয়।
এনজাইম ওয়াশঃ নীট ফেব্রিকে এনজাইম ওয়াশের মাধ্যমে হেয়ারিনেস দূর করা হয়। এক্ষেত্রে সেলুলেজ নামক এক ধরনের এনজাইম ব্যবহার করা হয়। এনজাইম ওয়াশ করার আগে ফেব্রিককে নিউট্রলাইজ করা হয়, এক্ষেত্রে পার অক্সাইড কিলার ব্যবহার করা হয়। সেলুলেজ এনজাইম এসিডিক মিডিয়ামে কাজ করে, তাই এসিডিক মিডিয়াম সৃষ্টির জন্য এসিটিক এসিড ব্যবহার করা হয়। নিট ফেব্রিকে মেকানিক্যাল ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে সিনজিং করলে টেনশনের জন্য ফেব্রিকের ডাইমেনশন পরিবর্তন হয়ে যায়। যার ফলে ফেব্রিকে স্রিংকেজ , স্পাইরিলিটি দেখা যায়। যার কারনে নীট ফেব্রিকে সিনজিং করা হয় না। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বায়োপলিশিং ভাল হয়। বায়োপলিশিং এ ব্যবহৃত সেলুলেজ এনজাইম বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক বা ব্যাক্টেরিয়ার দেহ থেকে পাওয়া যায়। এরা এসিডিক মিডিয়ামে ফেব্রিকের উপরের অংশের প্রটিওডিং ফাইবারের সেলুলোজকে ভেংগে পানিতে দ্রবীভুত গ্লুকোজে পরিণত করে। নীট ফেব্রিকে এক্সজোস্ট মেথোডে বায়োপলিশিং করা হয়। এই প্রসেসটি দুইটি ধাপে করা যায়, ডাইং এর আগে অথবা ডাইং এর পরে। তবে উভয় ক্ষেত্রে পি এইচ , তাপমাত্রা
এবং
এনজাইমের
ঘনমাত্রা
একই থাকা লাগে। বায়োপলিশিং এর ক্ষেত্রে পি এইচ ৪ থেকে ৫ এর মধ্যে থাকে। বায়োপলিশিং এর ক্ষেত্রে তাপমাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। কারন তাপমাত্রা বাড়ালে এনজাইমের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। ৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায়
এনজাইমের
কার্যকারিতা
সম্পূর্ণ
নষ্ট হয়ে যায়।বায়োপলিশিং এর ক্ষেত্রে সময় ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। কারন বেশি সময় ধরে এনজাইম ওয়াশ করা হলে তা হেয়ারি ফাইবারকে ডেমেজ করার পর ইয়ার্ন কেও ডেমেজ করে ফেলতে পারে। তাই কন্টিনিউয়াস ফলোয়াপ করে স্যাম্পল চেক করে যতোক্ষন পর্যন্ত না হেয়ারি ফাইবার দূর হচ্ছে ততক্ষন ওয়াশ রানিং রাখতে হবে। ফেব্রিকের হেয়ারি ফাইবার সম্পূর্ণ দূর হওয়ার পর মেশিনের তাপমাত্রা বাড়িয়ে এনজাইমের কার্যকারিতা সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়া হয়।পরবর্তীতে হট ওয়াশ করে ফেব্রিককে নিউট্রলাইজ করে ইহাকে স্কাওয়ারিং এবং ব্লিচিং এর উপযোগী করে তোলা হয়।
*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
0 Comments