প্রিন্টিং
এর স্টাইল
ডিরেক্ট প্রিন্টিংঃ
এক্ষেত্রে ডিজাইন অনুসারে বিভিন্ন কালার ওয়াইড ফেব্রিকে প্রিন্ট করা হয়।
ডিসচার্জঃ
ওয়াইড ডিসচার্জের ক্ষেত্রে , প্রথমে ডাইড ফেব্রিককে সমানভাবে কোন অক্সিডাইজিং এজেন্ট অথবা রিডিউসিং এজেন্ট দ্বারা থিকেনার সহ প্রিন্ট করা হয়। তারপর স্টিমিং করলে প্রিন্টিং এর স্থান থেকে ফেব্রিকের ডাইস উঠে গিয়ে হোয়াইট ডিজাইন তৈরী হবে। কালার ডিসচার্জের বেলায় উক্ত থিকেনারের সাথে
এমন ডাইস যোগ করতে হেব যা অক্সিডাইজিং বা রিডিউসিং এজেন্ট দ্বারা নষ্ট হয়ে যায় না। তারপর স্টিমিং করলে প্রিন্টিং এর স্থান থেকে ডিসচার্জ ডাইস উঠে গিয়ে নতুন ডাইস প্রতিস্থাপিত হবে।
রেজিস্টঃ
যে ধরন কালার, ফেব্রিক সার্ফেসে দুই ধাপে হয়ে থাকে সেইসব কালার দিয়ে প্রথমে ফেব্রিককে প্যাডিং করে ড্রাই করে নিতে হয়। ২য় ধাপে এসিড, এলকালি, অক্সিডাইজিং , রিডিউসিং এজেন্ট, থিকেনারসহ প্রিন্ট পেস্ট তৈরী করা হয়। অতঃপর প্রিন্ট পেস্ট দিয়ে প্রিন্টিং সম্পন্ন করা হয়।
প্রিন্টিং পেস্টঃ
এই পেস্ট তৈরী করার মূল উদ্দেশ্য যেন প্রিন্টিং করার সময় কালারটি ডিজাইনমত ফেব্রিক সার্ফেসে বসে যায়, অর্থাৎ কালার যেন ছড়িয়ে না যায়। এই কাজের জন্য কালার সল্যুশনের অতি সামান্য পরিমান পানি এবং থিকেনিং এজেন্ট দিয়ে পেস্টের মত তৈরী করা হয়। একে প্রিন্ট পেস্ট বলে।
প্রিন্টিং
পেস্ট তৈরী করার জন্য প্রথমে প্রয়োজনীয় কালার ও কেমিক্যাল নিয়ে সামান্য পানিতে
মিশিয়ে, প্রয়োজনীয় থিকেনার যোগ
করে খুব ভালোভাবে মিশানো হয়। প্রিন্ট পেস্টের স্থায়িত্ব নির্ভর
করে ব্যবহৃত থিকেনারের স্থায়িত্বের উপরে। কিছু কিছু পেস্ট দীর্ঘস্থায়ী অর্থাৎ ৭-১৫ দিন পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকে, আবার কিছু কিছু স্বল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায়।
পেস্ট প্রস্তুত করার জন্য ব্যবহৃত কেমিক্যালসমূহঃ
১. ডাইস্টাফ , যা পাউডার , পিগমেন্ট বা ফোম হতে পারে।
২. ওয়েটিং এজেন্ট
৩. থিকেনার
৪. ডিফোমিং এজেন্ট
৫. অক্সিডাইজিং এজেন্ট
৬. রিডিউসিং এজেন্ট
৭. এসিড ও এলকালি
৮. ক্যারিয়ার ও সোয়েলিং এজেন্ট
থিকেনার বা
থিকেনিং এজেন্টঃ
টেক্সটাইল প্রিন্টিং
এ থিকেনিং এজেন্ট বা প্রিন্টিং গাম এর গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা
ডাইষ্টাফ বা পিগমেন্ট ফেব্রিকে লাগাতে হলে থিকেনিং এজেন্টের ব্যবহার একান্ত
প্রয়োজন । ফেব্রিক প্রিন্টের নির্দিষ্ট জায়গায় থিকেনিং এজেন্টের সাথে
রং বা পিগমেন্ট লেগে থাকে এবং এতে রং ফেব্রিকের প্রিন্ট বহির্ভুত জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে
না । তাছাড়া থিকেনিং এজেন্টের ব্যবহারের ফলে রং স্থায়ী করার জন্য
ষ্টীমিং বা ফিক্সেশন এর সময়ে কোন প্রকার কালার ব্লিডিং হয় না। ফেব্রিক
প্রিন্টের পরে ফেব্রিক ভাল্ভাবে পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে এই থেকেনিং এজেন্ট
সম্পূর্ণ রুপে দূর করা হয়।তবে থেকেনিং এজেন্ট এমন হতে হবে যাতে রং বা প্রিন্টিং পেষ্ট
এ ব্যবহৃত অন্যান্য উপকরন গুলোর সাথে মিক্সিং এ কোন রকম অসুবিধার সৃষ্টি না করে।
সাধারনত দুই ধরনের থিকেনার প্রিন্টিং এর জন্য ব্যবহার করা হয়।
১. টেম্পোরারি থিকেনারঃ
যা ফেব্রিকের প্রিন্টিং করা স্থানে কালার বসানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এবং প্রিন্টিং করার পর তা ধুয়ে সহজেই উঠানো যায়। যেমনঃ স্টার্চ, গাম এলজিনেট ইত্যাদি।
২.
পার্মানেন্ট থিকেনারঃ
যা
কালারকে ফেব্রিকের উপর নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে আসার বাহক হিসাবে কাজ করে এবং
প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে নিজেই ফেব্রিকের প্রিন্টিং অংশ হিসাবে পার্মানেন্ট ভাবে
থেকে যায়। যেমনঃ
বাইন্ডার, সিনথেটিক, রেজিন ইত্যাদি।
*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
0 Comments