ইয়ার্ন কাউন্টঃ-
কাউন্ট হলো ইয়ার্নের একক ভরের দৈর্ঘ্য বা একক
দৈর্ঘ্যের ভরকে বুঝায়। সহজ ভাষায় ইয়ার্ন কাউন্ট দ্বারা ইয়ার্ন কতটুকু ফাইনার বা কোরসার অর্থাৎ মোটা বা চিকন সেটা নির্ণয় করা যায়।
কাউন্ট এর প্রকারভেদঃ- কাউন্ট দুই প্রকার।
১। ইনডিরেক্ট কাউন্ট
২। ডিরেক্ট কাউন্ট
ইনডিরেক্ট কাউন্টঃ-
ইয়ার্নের একক ভরের দৈর্ঘ্যকে ইনডিরেক্ট কাউন্ট বলে।
অর্থাৎ ইয়ার্নের কাউন্ট যত বেশি হবে ইয়ার্ন তত চিকন হবে। যেমন- ইংলিশ কাউন্ট,
মেট্রিক কাউন্ট, ওরস্টেড কাউন্ট ইত্যাদি।
ইনডিরেক্ট কাউন্ট (N)= (L*w)/(l*W)
এখানে,
N=
মোট ইয়ার্ন
কাউন্ট
L=
শ্যাম্পল লেন্থ
W= শ্যাম্পল ওয়েট
l=
ইউনিক লেন্থ
w= ইউনিক
ওয়েট
ইংলিশ কাউন্ট(Ne) :-
৮৪০ গজ ইয়ার্নের যতগুলো হ্যাঙ্ক এর ভর ১
পাউন্ড হয়।
মেট্রিক কাউন্ট(Nm):-১০০০ মিটার ইয়ার্নের যতগুলো হ্যাঙ্ক এর ভর ১
কেজি হয়।
যেমন-৩২ Nm বলতে বুঝায় যে,১০০০মিটার ইয়ার্নের
৩২ হ্যাঙ্ক এর ভর ১ কেজি হয়।
ডিরেক্ট কাউন্টঃ-
ইয়ার্নের একক দৈর্ঘ্যের ভরকে ডিরেক্ট কাউন্ট
বলে। অর্থাৎ ইয়ার্নের কাউন্ট যত বেশি হবে ইয়ার্ন তত মোটা হবে। যেমন- টেক্স,
ডেনিয়ার, ডেসি টেক্স ইত্যাদি।
ডিরেক্ট কাউন্ট (N)= (l*W)/(L*w)
এখানে,
N=
মোট ইয়ার্ন
কাউন্ট
L=
শ্যাম্পল লেন্থ
W= শ্যাম্পল ওয়েট
l=
ইউনিক লেন্থ
w= ইউনিক
ওয়েট
টেক্স(Tex):- ১০০০ মিটার ইয়ার্নের ভর যত গ্রাম।
যেমন- ৪০ টেক্স বলতে বুঝায় যে, ১০০০ মিটার
ইয়ার্নের ভর ৪০ গ্রাম।
ডেনিয়ারঃ- ৯০০০ মিটার ইয়ার্নের ভর যত গ্রাম।
যেমন- ৪০ ডেনিয়ার বলতে বুঝায় যে, ৯০০০ মিটার
ইয়ার্নের ভর ৪০ গ্রাম।
ডেসি টেক্সঃ- ১০,০০০ মিটার ইয়ার্নের ভর যত
গ্রাম।
কাউন্ট ও জি এস এম এর মধ্যে সম্পর্কঃ-
ইনডিরেক্ট এর ক্ষেত্রে কাউন্ট বেশি হলে ইয়ার্ন ফাইনার হয় তাই ফেব্রিকের জি এস এম কম হয়।
আর ডিরেক্ট এর ক্ষেত্রে কাউন্ট বেশি হলে
ইয়ার্ন কোরসার হয় তাই ফেব্রিকের জি এস এম বেশি
হয়।
চিত্রঃ কাউন্টসমুহের কনভার্সেসন (ফাইবার টু ফ্যাশন)
*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
0 Comments