ওয়াশিং:
ওয়াশিং বাংলাদেশের একটি রাইজিং সেক্টর। বিশেষত ডেনিম ওয়াশিং। গার্মেন্টসকে আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়াশিং করা হয়ে থাকে। ওয়াশিং এ বিভিন্ন ধরনের ক্যামিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সব ক্যামিক্যাল গুলোর ফাংশন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আজকে আমরা ওয়াশিং এর বিভিন্ন ক্যামিক্যালের ফাংশন নিয়ে আলোচনা করব।
চিত্র:- কেমিক্যাল
(Textilelab.blogspot.com)
এনজাইমঃ
সেলুলোজকে হাইড্রলাইজ করতে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।যার ফলে গার্মেন্টসের ইয়ার্ন থেকে কালার উঠে আসে এবং ফেডেড এফেক্ট প্রদান করে।
ডিটারজেন্টঃ
গার্মেন্টস থেকে বিভিন্ন ধরনের ইম্পিউরিটিস এবং সাইজ ম্যাটারিয়াল দূর করার জন্য ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়।
আসিটিক এসিডঃ
গার্মেন্টসকে এলকালাইন থেকে নিউট্রলাইজ করার জন্য এসিটিক এসিড ব্যবহার করা হয় । পি এইচ কন্ট্রোল করার জন্য ও এসিটিক এসিড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এন্টি স্টেইনঃ
ডেনিমের ওয়েফট ইয়ার্নের স্টেইনিং প্রতিরোধ করার জন্য আন্টি স্টেইন ব্যবহার করা হয়।
সোডিয়াম হাইপো সালফেটঃ
ক্লোরিন ব্লিচ গার্মেন্টসকে নিউট্রলাইজ করার জন্য সোডিয়াম হাইপো সালফেট ব্যবহার করা হয়।
কস্টিক সোডাঃ
গার্মেন্টসের ওল্ড লুকিং এফেক্ট সৃষ্টি করার জন্য কস্টিক সোডা ব্যবহার করা হয়।
সোডিয়াম বাই কার্বোনেটঃ
ইহা ডেনিম ব্লিচ ওয়াশের লাইট সেডের সময় বাথে ব্লিচ পাউডারের সাথে ব্যবহার করা হয়। আর এই কারনে লাইট সেডের ডেনিমের ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি ব্লিচ এফেক্ট আসে।
পটাশিয়াম পার মেংগানেটঃ
এসিড ওয়াশের সমইয় পটাশিয়াম পার মেংগানেট ব্যবহার করা হয়। পি পি স্পে এর ক্ষেত্রেও ইহা ব্যবহার করা হয়, ইহা গার্মেন্টসকে ড্রিগেট করে হোয়াইট লুক প্রদান করে।
সফেনারঃ
গার্মেন্টস সারফেসকে স্মুথ এবং সফট করার জন্য সফেনার ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ও ইহা গার্মেন্টসের লুব্রিক্রেটিং প্রপার্টির উন্নতি প্রদান করে।
সোডিয়াম ক্লোরাইডঃ
ইহা ফাইবার হতে সম্পূর্ণ ডাই বের করতে সাহায্য করে।
বাফারিং এজেন্টঃ
এনজাইম বাথ, সফেনার বাথ, ডিসাইজিং বাথের পি এইচ কন্ট্রোল করার জন্য বাফারিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়।
হাইড্রোজেন্ট পার অক্সাইডঃ
ইহা এলকালি মিডিয়াকে ভেংগে হাইড্রোক্সিল আয়ন সৃষ্টি করে, যা সেলুলোজের ক্রোমোফরকে ভেংগে ডি কালার করে গার্মেন্টসকে হোয়াইট করে।
স্টাবিলাইজারঃ
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড যাতে ভেংগে যেতে না পারে তার জন্য স্টাবিলাইজার ব্যবহার করা হয়। যার ফলে ওয়াশিং বাথের মধ্যে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড স্মুথলি কাজ করতে পারে।
ফিক্সিং এজেন্টঃ
ফেব্রিকের আন-ফিক্সড ডাইকে ফিক্সড করার জন্য ফিক্সিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়। যার ফলে ফেব্রিকের কালার ফাস্টনেস এবং রাবিং ফাস্টনেস বৃদ্ধি পায়।
অপটিক্যাল ব্রাইটেনারঃ
সাধারণত ওয়াশিং প্লান্টে দুই ধরনের ব্রাইটেনার ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ রেড ব্রাইটেনার ও ব্লু ব্রাইটেনার। গার্মেন্টসের ব্রাইটনেস বৃদ্ধি করার জন্য অপটিক্যাল ব্রাইটেনার ব্যবহার করা হয়।
রেসিনঃ
ডেনিম এবং অন্যান্য সেলুলোজ ফেব্রিকের সেমি পার্মানেট ক্রিজ সৃষ্টি করার জন্য রেসিন ব্যবহার করা হয়।
সোডিয়াম মেটা বাই সালফেটঃ
ওয়াশিং প্লান্টে পটাশিয়াম পার মেংগানেট হতে গার্মেন্টসকে নিউট্রলাইজ করতে সোডিয়াম মেটা বাই সালফেট ব্যবহার করা হয়।
ডি সাইজিং এজেন্টঃ
গার্মেন্টসের মধ্যে স্টার্চ, ওয়াক্স, ফ্যাট, পেকটিন, মিনারেলস, আন ফিক্সড ইন্ডিগো ডাইকে রিমুভ করার জন্য ডিসাইজিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়।
ক্যাটানাইজারঃ
পিগমেন্ট ডায়িং এর ক্ষেত্রে মরডেন্ট হিসেবে ক্যাটানাইজার ব্যবহার করা হয়। এর কারন হচ্ছে পিগমেন্ট ডাই সরাসরি ফেব্রিকে ফিক্স হয় না।
মাইক্রো ইমালশন সিলিকনঃ
ইহা গার্মেন্টসকে স্থায়ী ভাবে সফটনেস এবং এন্টি পিলিং ইফেক্ট প্রদান করে, যার ফলে গার্মেন্টস সফট হয় এবং ডাইমেনশোনালি স্টেবল হয়।
*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
0 Comments