গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতি গড়ার মুল হাতিয়ার।
বাংলাদেশ ইউরোপ, আমেরিকা মহাদেশ সহ বিভিন্ন মহাদেশে পোশাক রপ্তানি করে বিপুল পরিমানে
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে। এই বৈদেশিক মুদ্রা
অর্জনের জন্য এক জন মার্সেন্ডাইজারকে অনেক গুলো টার্ম অনুসরন করতে হয়। সাধারণত বায়ার
কর্তৃক স্যাম্পল পাঠানোর পর একজন মার্সেন্ডাইজার বায়ারের কাছে সেই স্যাম্পল টি এপ্রুভ
করায়, সেই স্যাম্পল এপ্রুভ হলে বাল্ক প্রোডাকশনে যায়। আজকে আমরা আমাদের ব্লগটি সাজিয়েছে
বিভিন্ন ধরনের স্যাম্পলের বিস্তারিত আলোচনা করার মাধ্যমে।
স্যাম্পলের প্রকারভেদঃ-
গার্মেন্টস স্যাম্পলকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ
১. প্রটো স্যাম্পল
২. ফিট স্যাম্পল
৩. সাইজ সেট স্যাম্পল
৪. কাউন্টার স্যাম্পল
৫. সেলসম্যান স্যাম্পল
৬. প্রি প্রোডাকশন স্যাম্পল
৭. টপ অভার প্রোডাকশন স্যাম্পল
৮. শিপমেন্ট স্যাম্পল
চিত্রঃ বিভিন্ন ধরনের স্যাম্পল (গুগল)
প্রটো
স্যাম্পলঃ এই স্যাম্পলটি হচ্ছে প্রথম স্যাম্পল। এই স্যাম্পলটি অর্ডারের
আগে বা পরে বানানো হয়। যে কোন ধরনের ফেব্রিক , কালার বা বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস এক্সেসোরিস দিয়ে এই
স্যাম্পল তৈরি করা হয়। এই স্যাম্পলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় ডিজাইনের উপর, কারন
বায়ার শুধু ডিজাইনটি ঠিক আছে কিনা তাই দেখবে।
ফিট
স্যাম্পলঃ প্রটো স্যাম্পল এপ্রুভ করার পর বায়ারের কাছে ফিট স্যাম্পল
এপ্রুভ করার জন্য পাঠানো হয়। বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে কাছাকাছি মানের জি.এস.এম
দিয়ে এই ফিট স্যাম্পল তৈরি করা হয়। এই স্যাম্পলের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় মেজারমেন্টের
উপর। বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে ১০০ % মেজারমেন্ট ওকে হতে হয়, তা নাহলে এই স্যাম্পল
এপ্রুভ হবে না।
সাইজ
সেট স্যাম্পলঃ ফিট স্যাম্পল এপ্রুভ হলে সাইজ সেট স্যাম্পল
তৈরি করা হয়। সাধারণত বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে বিভিন্ন সাইজের স্যাম্পল ২- ৩ পিস
তৈরি করে বায়ারের কাছে এপ্রুভের জন্য পাঠানো হয় অর্থাৎ S, M, L, XL, XXL ইতাদি সাইজের
স্যাম্পল্ গুলো ২- ৩ পিস তৈরি করে বায়ারের কাছে এপ্রুভের জন্য পাঠানো হয়।
কাউন্টার
স্যাম্পলঃ বায়ারের কমেন্টের উপর ভিত্তি করে কাউন্টার স্যাম্পল তৈরি করা
হয়।
সেলসম্যান
স্যাম্পলঃ সেলসম্যান স্যাম্পল এস এম এস (SMS) স্যাম্পল নামেও পরিচিত। কাস্টমারের ফিডব্যাক চেক
করার জন্য বায়ার নির্ধারিত প্রতিনিধি ২০০ থেকে ৩০০ স্যাম্পল মার্কেটে পাঠায়, এই স্যাম্পলই
মুলত সেলসম্যান স্যাম্পল বা এস এম এস স্যাম্পল নামে পরিচিত।
প্রি
প্রোডাকশন স্যাম্পলঃ প্রি প্রোডাকশন স্যাম্পল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
একটি স্যাম্পল। এই স্যাম্পলটি এপ্রুভ হলে বাল্ক প্রোডাকশন শুরু হয়। রিজেক্টেট হলে
বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে পুনরায় স্যাম্পল তৈরি করে বায়ারের কাছে পাঠানো হয়, বায়ার
স্যাম্পলটি এপ্রুভ করলে বাল্ক প্রোডাকশন শুরু হবে, তাই এই স্যাম্পলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্যাম্পল।
টপ
অভার প্রোডাকশন স্যাম্পলঃ
প্রোডাকশন চলাকালিন সময় বায়ার বা বায়ার নির্ধারিত প্রতিনিধির কাছে যে স্যাম্পল
পাঠানো হয় তাকে টপ অভার প্রোডাকশন স্যাম্পল বলে । এই স্যাম্পলটি রিজেক্টেট হলে সমস্ত
প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
শিপমেন্ট
স্যাম্পলঃ ফাইনাল ইন্সপেকশনের পর শিপমেন্টের আগে বায়ারের নিকট যে
স্যাম্পল পাঠানো হয় তাকে শিপমেন্ট স্যাম্পল বলে।
*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
0 Comments