প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট
গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে মার্চেন্ডাইজার এবং স্যাম্পলিং সেকশনের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বাইং হাউজে, স্যাম্পলিং সেকশনকে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট সেকশন বলে। মার্চেন্ডাইজাররা প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট এর প্রতিটি স্টেজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের
সময় মার্চেন্ডাইজারদের
করণীয় কাজসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো-
১. মিশন এবং ভিশন নিয়ে বায়ারদের সাথে ডিল করা। প্রোডাক্টের
কিউরি তৈরি করা এবং বায়ার থেকে প্রোডাক্টের ডিজাইন, ওয়ার্কশিট, কালার,ফেব্রিক এবং
একসেসরিস সম্পর্কে ডিটেলস তথ্য সংগ্রহ করা। ভাল হয় যদি বায়ার থেকে স্যাম্পলের
রেফারেন্স সংগ্রহ করা যায়।
২. ওয়ার্কশিট এবং প্রোডাক্ট লাইন রিভিউ করার পর স্যাম্পল
মেকিং এর জন্য নতুন প্যাটার্ন তৈরি করা।
৩. স্যাম্পল মাস্টারের কাছে ডিজাইন এবং বায়ার
রিকুয়ার্মেন্ট সম্পর্কে আলোচনা করা এবং তাদের করনীয় কি তা বুঝিয়ে বলা। যদি কোন
বিষয় বুঝতে সমস্যা হয়,তা একটি কাগজে লিখে রাখা এবং বায়ারকে জিজ্ঞাসা করে ক্লিয়ার
হওয়া।
৪. এরমাঝে মার্চেন্ডাইজার কর্তৃক প্রয়োজনীয় ট্রিম এবং ফেব্রিক প্রাইজ চেক করা, BOM শিট তৈরি করা এবং সমস্ত স্যাম্পল
আইটেম দেশ এবং বিদেশ হতে রেডি করা।
৫. স্যাম্পল ডেলিভারি টাইম ফিক্স করা এবং বায়ারকে ইনফর্ম করা।
৬. ফেব্রিক এবং ট্রিম কোয়ালিটি চেক করা এবং এদের প্রাইজ এনালাইসিস করা।
৭. ল্যাব ডিপস এবং অন্যান্য ল্যাব টেস্ট করা এবং সমস্ত ল্যাব রিপোর্ট রেডি করা। ল্যাব রিপোর্ট এবং ফেব্রিক সোয়াচ এপ্রুভের জন্য বায়ারের কাছে সেন্ড করা।
৮. স্যাম্পল ডেভেলপমেন্ট হতে প্রোডাকশন পর্যন্ত এক্সট্রা কেয়ার নেওয়া। যদি দরকার হয় আরও প্রসেস এড করা যেমন-প্রিন্টিং, এমব্রয়ডারি, ওয়াশিং ইত্যাদি।
৯. প্রি-প্রোডাকশন
মিটিং (PPM) এরেঞ্জ করা। সোয়াচ কার্ড চেক করা এবং কাটিং শুরু করা।
১০. স্যাম্পল ডেভেলপমেন্টের জন্য বার বার
স্যাম্পল রুম ভিজিট করা। অপারেটর
এবং প্যাটার্ন মেকারকে বায়ার রিকুয়ারমেন্ট পূরণ করার জন্য গাইড করা।
১১. স্যাম্পল প্রোডাক্টশন শেষ হলে,
কোয়ালিটি চেক করা এবং কোয়ালিটি রিপোর্ট সংগ্রহ করা।
চিত্রঃ প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট (গুগল)
১২. বায়ারকে ডিসপ্যাচিং করার আগে সমস্ত ফিনিশড
স্যাম্পল চেক করা। তারপর
স্যাম্পল বায়ার অফিসে সেন্ড করা। স্যাম্পল
ট্যাগ, কিউ এ রিপোর্ট, মেজারমেন্ট চার্ট, মার্কার পেপার এবং টেকনিক্যাল
কমেন্টস ইত্যাদিও স্যাম্পলের সাথে সেন্ড করা, যাতে বায়ার সহজে
এসেসমেন্ট করতে পারে।
১৩.ট্র্যাকিং নাম্বার
দ্বারা ডিসপ্যাচ স্যাম্পল ট্র্যাক করা। প্রথম প্রটো স্যাম্পল তৈরি করা।
১৪. কস্ট শিট
প্রস্তুত করা এবং বায়ারকে সাবমিট করা।
একজন মার্চেন্ডাইজারের প্রধান ৬ টি কাজ:-
১. প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট এবং অর্ডার নেগসিয়েশন।
২. কনজাম্পশন এবং কস্টিং।
৩. স্যাম্পল তৈরি করা এবং এপ্রুভের জন্য সেন্ড করা।
৪. টি.এন.এ চার্ট তৈরি করা এবং সঠিকভাবে পূরণ করা।
৫. সাপ্লায়ার এবং বায়ারদের সাথে নেগসিয়েশন করা।
৬. পিপি মিটিং-এ এটেন্ড করা এবং ফ্যাক্টরির দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা।
0 Comments