সীম(Seam):-
যে লাইন বরাবর এক বা একাধিক ফেব্রিক জোড়া লাগানো হয় তাকে সীম
বলে।
সীম টাইপ:-
সীম সাধারণত ৬ ধরনের।
১. সীম
ক্লাস-১(সুপার ইম্পোজড সীম)
২. সীম
ক্লাস-২(ল্যাপেড সীম)
৩. সীম
ক্লাস-৩(বাউন্ড সীম)
৪. সীম
ক্লাস-৪(ফ্লাট সীম)
৫. সীম
ক্লাস-৫(ডেকোরেটিভ সীম)
৬. সীম
ক্লাস-৬(এজ নিটেনিং সীম)
১. সীম ক্লাস-১(সুপার ইম্পোজড সীম)
- দুই বা তার
অধিক ফেব্রিক পিচ একসাথে সুইং করা হয়।
- সাধারণত অধিক
ব্যবহৃত হয়।
- ফেব্রিক এন্ড
ডিরেকশন একই থাকে।
- এটির ৫০ টিরও
বেশি ভারিয়েশন আছে।
চিত্রঃ-
সীম ক্লাস-১(সুপার ইম্পোজড সীম)
ব্যবহার:-
শার্ট এবং
প্যান্টের মত ইনসাইড সীম হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
২. সীম ক্লাস-২(ল্যাপেড সীম)
- দুই বা তার
অধিক ফেব্রিক পিচ একটি অন্যটির উপর ওভার ল্যাপিং করা হয়।
- ফেব্রিকের
দুইটি এন্ড ডিরেকশন বিপরীত।
- সাধারণত
দুইটি নিডল চেইন স্টিচ মেশিন ইউজ করা হয়।
চিত্রঃ-
সীম ক্লাস-২(ল্যাপেড সীম)
ব্যবহার:-
জিন্স,
ড্রেস শার্ট ইত্যাদিতে এই সীম ইউজ করা হয়।
৩. সীম ক্লাস-৩(বাউন্ড সীম)
- বাউন্ড সীম
হলো এক পিচ ফেব্রিকের উপর অন্য এক পিচ ফেব্রিক দ্বারা রো প্রান্তে ইনকমপ্যাসিং
করা।
- গার্মেন্টস
ফিনিস এজ হিসাবে এটি ব্যবহৃত হয়।
- তাছাড়া
মাঝেমাঝে ডেকোরেটিভ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হয়।
- বাউন্ড সীমের
১৮ টি ভেরিয়েশন আছে।
চিত্রঃ- সীম ক্লাস-৩(বাউন্ড সীম)
ব্যবহার:-
টি-শার্টের নিকলাইন,
শার্টের ইয়োক জইন,
আন্ডারওয়ারে ব্যবহার করা হয়।
৪. সীম ক্লাস-৪(ফ্লাট সীম)
- দুই পিচ
ফেব্রিক একটি অপরটির বিপরীত প্রান্তে জোড়া লাগানো।
- সীম থিকনেস
কম।
- যিক-যাক
স্টিচ তৈরি হয়।
চিত্রঃ-
সীম ক্লাস-৪(ফ্লাট সীম)
ব্যবহার:-
নিক ওয়ারের আন্ডার গার্মেন্টসে ব্যবহৃত হয়।
৫. সীম ক্লাস-৫(ডেকোরেটিভ সীম)
- এক বা একাধিক
ফেব্রিক লেয়ারে পাশাপাশি এক বা একাধিক স্টিচ লাইন তৈরি করার মাধ্যমে এই ধরনের সীম হয়।
- ম্যাল্টি
নিডল সুইং মেশিন ব্যবহার করা হয়।
- এই ধরনের সীম
শুধুমাত্র ডেকোরেটিভ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
চিত্রঃ-
সীম ক্লাস-৫(ডেকোরেটিভ সীম)
ব্যবহার:-
প্যান্ট অথবা অন্যান্য ড্রেসে ব্যবহার করা হয়।
৬. সীম ক্লাস-৬(এজ নিটেনিং সীম)
- এই খুবই
ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়।
- ওভার লক
মেশিন দ্বারা এই করা হয়।
চিত্রঃ-
সীম ক্লাস-৬(এজ নিটেনিং সীম)
ব্যবহার:-
নিট গার্মেন্টসে অধিক ব্যবহৃত হয়।
#রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
0 Comments