কালার ফাস্টনেস টু সালিভাঃ
কালার ফাস্টনেস টু সালিভা একটি সেন্সেটিভ টেস্ট।দেখা যায় যে, ছোটবেলা অনেক শিশু বাচ্ছাদের লালা পড়ে।এই লালার পড়ার কারণে ফেব্রিক থেকে অনেক সময় কালার উঠে, যা শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক।এই লালা জনিত কারণে যে টেস্ট করা হয়, তাকে কালার ফাস্টনেস টু সালিভা বলে। গ্রে গ্রস্কেলের মাধ্যমে স্পেসিমেনের কালার চেঞ্জ এবং স্টেইনিং এ্যাসেসিং করা হয়।
ইকুইপমেন্টঃ
১. সালিভা সল্যুশনের জন্য কেমিক্যাল
২.হাইড্রোক্লোরাইড এসিড সল্যুশন
৩. ডিসটিল্ড ওয়াটার
৪. ফ্লাট বাটম ডিস
৫. পিএইচ মিটার
৬. পার্সপিরোমিটার
৭. মাল্টি ফাইবার
৮. অ্যাক্রাইলিক প্লেট / গ্লাস প্লেট (১১)
৯. ইনকিউবাটর / ওভেন, (৩৭ প্লাস মাইসাস ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস)
১০. লাইট বক্স (ডি৬৫ লাইট সোর্স)
১১. গ্রে স্কেল
![]() |
চিত্র: টেস্টিং ইকুইপমেন্ট (গুগল) |
টেস্ট স্পেসিমেনঃ
১। (১০ * ৪) সে.মি. সাইজের প্রত্যেক কালারের দুটি করে স্পেসিমেন নেওয়া হয়।
২।সলিড এবং মাল্টি কালারের টেস্ট করা হয়।
৩। মাল্টি কালার হলে প্রত্যেক কালারের টেস্ট নেওয়া হয়।
৪। ফেস সাইড এবং ব্যাক সাইডের কালার আলাদা অথবা কনস্ট্রাকশন ভিন্ন হলে উভয় সাইডের টেস্ট করা হয়।
৫। অল ওভার প্রিন্টের ক্ষেত্রে যদি ব্যাক সাইডের কালার ফেস সাইডে ভালভাবে বুঝা যায়,তাহলে শুধু ফেস সাইডের টেস্ট করা হয়।
সল্যুশন প্রিপারেশন (GB/T-18886)ঃ
১। ০.১৭ গ্রাম/লিটার- ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেড (MgCl2.6H2O)
২। ০.১৫ গ্রাম/লিটার- ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ডাই হাইড্রেড (CaCl2.2H2O)
৩। ০.৭৬ গ্রাম/লিটার- পটাসিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট ট্রাইহাইড্রেড (K2HPO4.3H2O)
৪। ০.৫৩ গ্রাম/লিটার- পটাসিয়াম কার্বনেট (K2CO3)
৫। ০.৩৩ গ্রাম/লিটার- সোডিয়াম ক্লোরাইড
৬। ০.৭৫ গ্রাম/লিটার- পটাসিয়াম ক্লোইরাড
নোট: কালার ফাস্টনেস টু সালিভা এর পিএইচ ৬.৮(প্লাস মাইনাস ০.১) রাখতে হয়। ১% (ম্যাস ফ্যাক্টশন) হাইড্রো ক্লোরাইড এসিড দিয়ে এই পিএইচ কন্ট্রোল করা হয়।
প্রসিডিউরঃ
১. স্পেসিমেন সাইজ (১০ * ৪) সে.মি।
২. একই সাইজের মাল্টি ফাইবার নিয়ে ফেস সাইড এবং শর্টার সাইডে (৪ সে.মি.) সুইন করা হয়।
৩. পার্সপিরোমিটার এবং অ্যাক্রাইলিক প্লেট ৩০ মিনিট ধরে প্রি-হিট করা হয়।
৪. একটি স্পেমিনের জন্য ডিসে ৫০ মিলি. সল্যুশন নিয়ে তাতে ৩০ মিনিট স্পেসিমেন ভিজিয়ে রাখা হয়।
৫. এই ৩০ মিনিটের মধ্যে ৩ বার গ্লাস রড / প্লেট দিয়ে স্পেসিমেন ভাল করে ওয়েট করা হয়।
৬. একটি স্পেসিমেন দুটি গ্লাস প্লেটের মাঝে এইভাবে মোট ১১ টি গ্লাস প্লেটে ১০ টি স্পেসিমেন তুলে, সবগুলো একটি পার্সপিরোমিটারে রাখা হয়।যদি স্পেসিমেন কমও হয় তারপরেও ১১ টি প্লেট পার্সপিরোমিটারে দিতে হবে।তারপর পার্সপিরোমিটারের উপর ৫ কেজি লোড দিয়ে লক করে, লোড রিমুভ করতে হবে।
৭. পার্সপিরোমিটার ৪ ঘন্টা (৩৭ প্লাস মাইনাস ২) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওভেন বা ইনকিউবিটরে রাখা হয়।
৮. ৪ ঘন্টা পরে হট ওভেনে ৪০-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে শুকানো হয়।তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রির বেশি নয়।
রেজাল্টঃ-
গ্রে স্কেলের মাধ্যমে চেক করে রেজাল্ট দেওয়া হয়।চেঞ্জিং কালার,কালার স্টেইনিং এবং ক্রস স্টেইন এ্যাসেসমেন্ট করে রেটিং দেওয়া হয়।গ্রে স্কেলের ৯ পার্ট (৫ হতে ১)।
#রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত।
0 Comments