Ticker

6/recent/ticker-posts

"গার্মেন্টস শিল্পে কি আবারও অন্ধকার ভবিষ্যতের হাতছানি?"

 কথা হচ্ছিল বি.এম ডীপোতে আগুন লাগার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে। 

রানা প্লাজা তাজরিন গার্মেন্টসের যে ইফেক্ট দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে পড়েছিল তার চেয়ে ভয়ংকর দিন সম্ভবত আসছে সামনে । আল্লাহ রহম করুন। গার্মেন্টসে চাকরি করার দরুন কম বেশী সবাই জানি ডিপো কি। 


আমাদের দেশ থেকে যেসব মাল দেশের বাইরে যায় সেগুলো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি থেকে ট্রাকে পাঠাই। সেই ট্রাক যায় এরকম একটা ডিপোতে। এই ডিপোতে গিয়ে মালামাল ট্রাক থেকে নামানো হয় ও কন্টেইনারে ভরা হয়। এরপরে ডিপো থেকে কন্টেইনার যায় পোর্টে। সেখানে জাহাজে কন্টেইনার লোড করা হয়। পুরো প্রক্রিয়ার সাথে ইউরোপ আমেরিকা জড়িত কারণ গার্মেন্টস মূলত রপ্তানি হয় ইউরোপ আমেরিকায়।

রানা প্লাজার পর ইউরোপ আমেরিকান কাস্টমাররা একের পর এক কঠিন শর্ত দিয়েছিল। এইসব শর্ত না মানলে তারা অর্ডার দিবে না। তারা প্রতিষ্ঠা করল একর্ড এলায়ন্সের মত ছড়ি ঘোরানোর প্রতিষ্ঠান। একর্ড এলায়েন্সের শর্ত মানতে গিয়ে লক্ষ কোটি টাকা ব্যায় হলো। অর্ধেক কারখানা তো বন্ধই হয়ে গেল।



এখন পশ্চিমারা আবার কী কী শর্ত জুড়ে দেয় তা আল্লাহই ভালো জানেন।

যেহেতু প্রোডাক্ট এর কস্টিং এখন অনেক হাই তাই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিকরা কোন প্রকার এক্সট্রা খরচ না করে সরাসরি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিবে। ইতিমধ্যে দেশের অনেক ফ্যাক্টরি মালিক 'সেইফ এক্সিট' এর আবেদন করেছে। মানে তারা গার্মেন্টস ব্যবসা বন্ধ করে দিতে চায় কিন্তু মাথার উপর পাহাড় সমান লোনের কারণে পারছে না। সরকার এদেরকে সুযোগ সুবিধা দিয়ে কোনভাবে টিকিয়ে রেখেছে কারণ ১ হাজার ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়া মানে সরাসরি ২০ লক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৬০ লক্ষ লোক বেকার হয়ে যাবে।

একদিকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিকরা পারছে না ফ্যাক্টরি চালিয়ে রাখতে, অপরদিকে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমিকরাও বেতন বৃদ্ধির দাবী জানিয়ে মিছিল।মিটিং করছে। ত্রাহি মধুসূদন অবস্থার মধ্যে ঘটে গেল সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ। এখন দেখা যাক আমাদের সামনে কী দিন আসছে।

সবাই দোয়া করেন, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। একমাত্র আল্লাহই পারেন আমাদেরকে এই আযাব থেকে রক্ষা করতে।      


*লেখক স্বত্ত্বঃ- Mamun Rezwan
*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
*উৎস :- Fakir Lal Mia
*ছবি উৎস :- Google  Facebook

Post a Comment

0 Comments