Ticker

6/recent/ticker-posts

কর্পোরেট_ফ্যাক্ট_২২

 বেসরকারি চাকরিজীবীরা কি রোহিঙ্গা?

একটা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার বেতন কতো? বললো ছয় হাজার। বললাম পড়াশোনা কি? বললেন মাস্টার্স!!

আচ্ছা বলেনতো ছয় হাজার কিভাবে একটা মানুষের বেতন হয়? আপনারা যারা পারবেন না তো অফিস দিয়েন না। উদ্যোক্তা সেজে বসিয়েন না। স্কুল কলেজ মাদ্রাসা দিয়েন না। আগাছার মতো স্কুল কলেজ দাড়িয়েছে। কোন কাজ কাম পাচ্ছে না তাই স্কুল দিয়ে, মাদ্রাসা দিয়ে ব্যবসা। বাহ! স্কুল কলেজ বা অফিস তো ফকির পালার জায়গা না। একটা ডেইলি লেবারও প্রতিদিন আট নয়শ টাকা ইনকাম করে।

এই দেশে বেসরকারি চাকরিজীবিদের কি মানুষ মনে করা হয় না? সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যদি একটা স্কেল থাকে, ইনক্রিমেন্ট থাকে তাহলে বেসরকারি চাকরির কোন নীতিমালা নাই কেন? এরা কি ভিন গ্রহের লোক নাকি রোহিঙ্গাদের মতো তাড়া খেয়ে আসা অভিবাসী? অবস্থা দেখে মনে হয় এই দেশ বিনির্মানে বেসরকারি লোকজনের কোন ভূমিকা নাই। সব যেন রোহিঙ্গা। সরকারের বোঝা। মরুক শালারা।
বেসরকারি চাকরিজীবীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে একটা স্যালারি গ্রেড করা উচিৎ। ইন্টার পাশ হলে মিনিমাম ১৫ হাজার। অনার্স পাশ হলে ২০ হাজার এমন। আর সার্টিফিকেটগুলোরো ওজন থাকা উচিৎ। হালের গরুটাও দেখি এখন মাস্টার্স পাস।


যে লেভেলের কাজ অফিস আদালতে হয় তা যে কোন আইনস্টাইনের কাজ তা আমাদের জানা আছে। দুই তিন মাস কাজ করলে লোকজন পেরে যায়। সুতরাং মিনিমাম স্যালারি আগে নিশ্চিত করা। আর এতে ছাতার মতো গজিয়ে উঠা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হবে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই উদ্যোক্তার নিজের বড় হওয়ার জন্য। নিজে দুবাই সিংগাপুর ঘুরে বেড়াবে আর এম্পলয়ি প্রতি মাসে ধার দেনায় চলবে। এইগুলা বন্ধ হবে।
মাস্টার্স পাশ করে যদি ছয় আট হাজার টাকায় চাকরি করা লাগে তো ঐ সার্টিফিকেট ইদুর ছানার খাবার হলেই বা কি ক্ষতি! আর তোমরাও মিয়া প্রয়োজনে গা খাটাও কিন্তু ছয় আটে কারো চাকরিতে জয়েন কইরো না। সস্তায় পায় দেখেইতো সর্বনাশটা হইছে।

*লেখক স্বত্ত্বঃ- S M Nahid Hasan
* সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, বুয়েট
* স্বত্বাধিকারী ডিজাইন এইড

*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত

Post a Comment

0 Comments