Ticker

6/recent/ticker-posts

একটি বিভীষিকাময় দিন

এই আন্দোলন কোন শ্রমিকদের আন্দোলন হতে পারেনা। যে আন্দোলনের একমাত্র মুখ্য উদ্দেশ্য অন্য ফ্যাক্টরিতে আগুন দেওয়া। আজকে সরাসরি আমাদের ফ্যাক্টরি আক্রান্ত কিছু দুষ্কৃতিকারী, দুর্বৃত্তের লাঠি এবং পেট্রল বোমার আঘাতে। জোর করে ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করে যা যা পেয়েছে সেখানে আগুন দিয়েছে, গ্লাস ভাঙচুর করেছে। প্রথমে অনেকক্ষন ধরে চেষ্টা করেছে দরজা ভাংগার। কুলিয়ে উঠতে না পেরে বাইরে থেকে ফ্যাক্টরির ভিতরে ইট মারতে শুরু করেছে। যখন একটা ফাকা পেয়েছে দল বেধে দরজা ভেংগে ফ্যাক্টরিতে ঢুকে পড়েছে। শ্রমিক, স্টাফ যাকে সামনে পেয়েছে পিটিয়েছে এমনকি রুমে ঢুকে আইটির একটা ছেলেকে বেধরক পিটিয়েছে, অবস্থা গুরুতর। এমনকি ফ্যাক্টরির রেসিডেন্সে গিয়ে পাঁচটা মটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে। রেসিডেন্স যেখানে মানুষ বসবাস করছে সেখানেও আগুন দিতে হোল এদের?  আমি মনে করিনা একজন শ্রমিক এরকম আক্রমনাত্মক হতে পারে। যে হাত মেশিনের চাকা ঘুরায় সেই হাতে অনেক মায়া থাকে, অনেক ঘাম থাকে। সে হাতে অস্ত্র উঠাটা শোভা পায়না। সে হাত আরেকজনের রক্ত ঝড়াতে পারেনা।  


 

 আমার দাবী থাকবে মালিকের প্রতি, মালিকও তার কস্ট কাটিং করে যতটুকু সম্ভব আমাকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমি যদি দাবি করি আকাশ সমান কিন্তু আমি বুঝতে পারছি এই দাবি পুরন করতে গেলে ফ্যাক্টরি রান করতে পারবেনা তখন আমার দাবিটা কি আদৌ পুরন হওয়ার সম্ভাবনা আছে? বর্তমান বাজার মুল্যের সাথে শ্রমিকরা কুলিয়ে উঠতে পারছেনা, পারার কথাও না কিন্তু এই রাগ বা ক্ষোভ অন্য একটা ফ্যাক্টরিতে দেখিয়ে কি কোন ফলাফল আছে? আমরা কর্মবিরতি দিচ্ছি, রাস্তা অবরোধ করছি ঠিক আছে আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এটা করতেই পারি কিন্তু ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ কেন?


আমাদের মনে রাখা উচিৎ, আমাদের প্রত্যেকটা কাজ এবং কথার জন্য এক আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। আমি জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যেন নিজেই জালিমের অন্তর্ভুক্ত না হয়ে যাই। 


*লেখক স্বত্ত্বঃ- Mamun Rezwan

*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত

Post a Comment

0 Comments