Ticker

6/recent/ticker-posts

এ সময়ের বহুল সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার, মার্চেন্ডাইজিং নিয়ে কিছু কথা


মার্চেন্ডাইজিং:-
মার্চেডাইজিং শব্দটি মূলত ইংরেজি শব্দ মার্চেন্ট থেকে এসেছে,যার অর্থ ব্যবসায়ীমার্চেন্ট থেকে মার্চেন্ডাইজ ,যার অর্থ ব্যবসায়ী উদ্দেশ্যে পন্য ক্রয় বিক্রয়মার্চেন্ডাইজ থেকে মার্চেন্ডাইজার ,এই মার্চেন্ডাইজারের কাজ হচ্ছে বিক্রয় বিভাগ পরিচালনা করাএই সম্পর্কিত কাজই হল মার্চেন্ডাইজিংএক কথায় বলতে গেলে ,গার্মেন্টস  মার্চেন্ডাইজিং বলতে একপক্ষ থেকে কাচামাল ক্রয় করে,সেই কাচামাল থেকে পণ্য প্রস্তুত করে সেই প্রস্তুতকৃত পণ্য অন্যপক্ষের কাছে বিক্রয় করা,এটাই মূলত গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিংবিশদভাবে বলতে গেলে ,একজন বায়ারের কাছ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করে,সেই অর্ডার ফুলফিল করার জন্য  প্রয়োজনীয় কাঁচামাল । যেমনঃফেব্রিক,ইয়ান,থ্রেড,কটন,জিপার ইত্যাদিএইগুলো বিভিন্ন সাপ্লায়ের কাছ থেকে ক্রয় করে,গার্মেটস উৎপাদনের মাধ্যমে বায়ারের চাহিদা মত পণ্য প্রস্তুত করে সেগুলো বায়ারের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়এই পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হতে পারে জল পথ বা আকাশ প্থ

গার্মেন্টস মার্চেইন্ডাইজিং এর প্রকারভেদঃ-
গার্মেটস মার্চেন্ডাইজিংকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়
.গার্মেটস অথবা এপারেল মার্চেন্ডাইজিং
. এপারেল বায়িং হাউস মার্চেন্ডাইজিং

এপারেল মার্চেন্ডাইজিং:-
একজ়ন এপারেল মার্চেন্ডাইজিংকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথায় রাখতে হবেযেমনঃ- অর্ডার পাওয়ার পর থেকে শিপমেন্ট পর্যন্ত  গার্মেন্টসের মোট খরচ যেমন বিভিন্ন এক্সেসোরিস তথা পণ্য উৎপাদনের কর্মরত শ্রমিক কর্মচারিদের মজুরি ও বেতনগার্মেন্টস ভাড়া ও অন্যান্য খরচাবলির মোট খরচ যাতে বিক্রিত পণ্যের চেয়ে কম হয় অর্থাৎ পণ্য বিক্রয় খাতে গার্মেন্টসের লাভ হয়ে থাকেসেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে

একজন মার্চেন্ডাইজারের দায়িত্ত্ব ও কর্তব্যঃ-
অর্ডার গ্রহন করা  থেকে পন্য শিপমেন্ট পর্যন্ত একজন মার্চেন্ডাইজারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করতে হয়নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা উপস্থাপন করা হলঃ-



বাইয়ারের নিকট হতে অর্ডারের বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়াঃ-

আমরা ইতিমধ্যে এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি যে, একজন গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজারের সর্বপ্রথম কাজ হল বাইয়ারের নিকট হতে অর্ডার  কালেক্ট করাসেইসাথে অর্ডারটির সম্পুর্ণ ইনফরমেশন যেখানে থাকে সেগুলো বুঝে নেওয়াযেমনঃ আর্ট ওয়ার্ক, টেকনিক্যাল শিট ইত্যাদি

স্যাম্পল ডেভলপমেন্টঃ-
অর্ডার শিট হাতে পাওয়ার পর বাইয়ার যে প্রোডাক্টের অর্ডার দিয়েছে, বাইয়ারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেই অর্ডারকৃত পন্যের স্যাম্পল তৈরী করে বাইয়ারের নিকট পাঠাতে হবেএটিই স্যাম্পল  ডেভলপমেন্ট

বাইয়ারের সাথে দর কষাকষি করাঃ-
এই পর্যায়ে মার্চেন্ডাইজারকে বাইয়ারের সাথে অর্ডারকৃত পন্যের মুল্য নির্ধারনের জন্য আলোচনায় বসতে হবেমার্চেন্ডাইজারকে অবশ্যই লাভের দিকটি মাথায় রাখতে হবে যেন পন্যের উৎপাদন খরচ বহন করেও গার্মেন্টস তথা ফ্যাক্টরির প্রফিট থাকেআবার এমন দামও বলা যাবে না যাতে বাইয়ার দাম শুনেই পালিয়ে যায়

অর্ডার নিশ্চিতকরন এবং বাইয়ারের নিকট হতে অর্ডার শিট গ্রহনঃ-
মুল্য নিয়ে দর কষাকষি হয়ে যাওয়ার পরেই মূলত বাইয়ার অর্ডার কনফারমেশন দেয়এবং মার্চেন্ডাইজারকে সেই অর্ডার কনফারমেশন লেটার এবং অর্ডার শিট গ্রহন করতে হয়এরপর থেকেই অর্ডারটিব প্রোডাকশনের দিকে এগোতে থাকে

প্রোডাকশনে যাওয়ার পূর্বে  বাইয়ারকে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়ঃ-
  • অর্ডারকৃত পন্যের স্যাম্পল তৈরী করে বাইয়ারের কাছ থেকে স্যাম্পল এপ্রুভ  করিয়ে নিতে হবে
  • প্রোডাকশনে কি পরিমান ফেব্রিক লাগবে তার উপর ভিত্তি করে মার্চেন্ডাইজারকে অর্ডার শিট তৈরী করতে হবে। 
  • অর্ডারকৃত প্রোডাক্টে প্রোডাকশনের জন্য যা যা এক্সেসোরিস লাগবে সেগুলোর জন্য রিকুইজিসন অর্থাৎ পার্চেস অর্ডার তৈরী করতে হবে। 
  • অর্ডারটিতে যা যা এক্সেসোরিস প্রয়োজন সবগুলোর একটি  দুটি করে স্যাম্পল নিয়ে সোয়াচ বোর্ড তৈরী করতে হবেএবং এটি তৈরী করে বাইয়ারের নিকট এপ্রুভালের জন্য পাঠাতে হবেসোয়াচ বোর্ডকে ট্রিম কার্ডও বলা হয়এটি মূলত গার্মেন্টসের নিজস্ব প্যাডে তৈরী করা হয় ।
  • অর্ডারকৃত পন্যটির প্রোডাকশনের জন্য যা যা কাঁচামাল বা এক্সেসোরিস প্রয়োজন সেগুলো কালেক্ট করাঅর্থাৎ ইতোমধ্যে মার্চেন্ডাইজার যে এক্সেসোরিসগুলোর জন্য বিভিন্ন সাপ্লাইয়ারের কাছে অর্ডার করেছিল সেগুলো কালেক্ট করা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফ্যাক্টরিতে আনা
  •  অর্থাৎ প্রোডাকশনে যাতে বিঘ্ন না ঘটে তাই কোন অর্ডার ক্রয় করতে বা কালেক্ট করতে ভুল হকিনা তা বারবার চেক করতে হবে কোন একটি ম্যাটেরিয়াল যদি ভুলবসত বাদ পড়ে যায় তবে এর খেশারত পুরো ফ্যাক্টরিকে দিতে হবে
  • এরপরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পিপি স্যাম্পল যা প্রি-প্রোডাকশন স্যাম্পল নামে পরিচিতএক্ষেত্রে বাইয়ার যেভাবে চেয়েছে স্যাম্পলটি ঠিক সেভাবে  আসল প্রোডাক্টের মত হতে হবে
  • প্রোডাকশন শুরু করার আগে একটা মিটিং এরেঞ্জ করতে হবে যেখানে প্রোডাকশনে কর্মরত কর্মাচারীরা উপস্থিত থাকবে এবং সেই মিটিংটির প্রধান উদ্দেশ্য হবে প্রোডকশনটি যেন সফল হয় অর্থাৎ বাইয়ারের  ফুল রিকোয়্যারমেন্ট যাতে ফুলফিল হয়
  • এরপরেই শুরু হবে সেই কাংখিত বাল্ক প্রোডাকশনঅর্থাৎ বাইয়ার যে অর্ডার করেছে সেই অর্ডারকৃত প্রোডাক্টের প্রোডাকশন শুরু হবে।  
  • অর্ডারটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাইয়ারের নিকট হস্তান্তর করতে হবে তাই প্রতিদিন কি পরিমান প্রোডাকশন করলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পন্য ডেলিভারি দেওয়া যাবে তার একটা হিসাব রাখতে হবে এবং সেই হিসাব অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা নিয়িমিত চেক করতে হবে। 
  • তারপরে আসছে অনলাইন ইন্সপেকশনঅর্থাৎ বাইয়ারের সাথে নিয়মিত অনলাইনে যোগাযোগ করতে হবে এবং একটা ইন্সপেকশন ডেট ফিক্সড করতে হবেযাতে বাইয়ার নির্ধারিত প্রতিনিধি এসে প্রোডাক্টের কোয়ালিটি চেক করতে পারে  

  • এরপর বাল্ক প্রোডাকশন অর্থাৎ বাইয়ার যে অর্ডার করেছে সেই অর্ডারকৃত পন্যের প্রোডাকশন শুরু হবে 
  • এরপর অর্ডারটি বায়ার নির্ধারিত সময়ে শিপমেন্ট দিতে হবে কোন প্রকার বিলম্ব ছাড়াই।  


*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত



Post a Comment

6 Comments

  1. I'm interested for marsandizing.thanks for you

    ReplyDelete
    Replies
    1. Hope you will get best knowledge and information about merchandising from this blog. So, stay with us.

      Delete
  2. ওয়াশ এর একটা মাএ বিবোরন দিয়েছেন, আসা করি সবগুলো পাব।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভাইয়া এখানে ওয়াশেরতো বিবরণ দেওয়া হয় নি।

      Delete
  3. Merchandising er jnno computer er ki ki jana joruri?!?!?

    ReplyDelete
  4. Microsoft Office er kaj, mainly microsoft excel er kaj, then email kora

    ReplyDelete