Ticker

6/recent/ticker-posts

"টেক্সটাইল প্রিন্টিং এর যাত্রা"


এই কথা আমরা সকলে জানি যে,তুলা থেকে সুতা  তৈরি হয় এবং সুতা থেকে ফেব্রিক তৈরি হয় তুলা থেকে সুতা তৈরি করাকে স্পিনিং বলে এবং সুতা থেকে ফেব্রিক তৈরি করাকে উইভিং বলা হয় ফেব্রিক কেটে সেলাই করে পোশাক তৈরি করা হয় আমরা আরো জানি পোশাক  তৈরি করার পূর্বে ফেব্রিককে ডাইং,প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং করা হয়ে থাকে
যে কোন ফেব্রিক আমরা সাধারণত মিল বা ফ্যাক্টরী থেকে গ্রে অবস্থায় পেয়ে থাকি যা পরবর্তীতে ডায়িং, প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং করা হয়ে থাকে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে গ্রে ফেব্রিকের ব্যবহার খুবই সামান্য। আমাদের ব্যবহার্য অধিকাংশ ডাইং,প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং করা ফেব্রিক ব্যবহার অনুযায়ী ফেব্রিক বিভিন্ন ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়ে থাকে সাদা ফেব্রিকের জন্য গ্রে  ফেব্রিকের ব্লিচিং করা হয় সার্টিং স্যুটিং শাড়ি,ব্লাউজ,বিছানা চাদর ইত্যাদি তৈরির জন্য গ্রে ফেব্রিক ডাইং অথবা প্রিন্টিং, ফিনিশিং করা হয় কোন কোন ফেব্রিক ব্লিচিং, ডাইং,প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং সহ সব কয়টি প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াকরণ করা হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাইং প্রিন্টিং না করে শুধু মাত্র প্রয়োজন অনুযায়ী ফিনিশিং করে বাজারজাত করা হয় কাজেই ফেব্রিকের সর্বশেষ ব্যবহার অনুযায়ী ফেব্রিককে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণ হয়ে থাকে।


ডাইং :- 
আঁশ ,সুতা, কিংবা ফেব্রিকে সর্বত্র সমভাবে রং ফুটিয়ে তোলার প্রক্রিয়া ডাইং বলা হয় যে পদার্থ বা রাসায়নিক দ্রব্য দ্বারা রঙ ফুটিয়ে তুলা হয় তাকে ডাইষ্টাফ  বলা হয়

প্রিন্টিং :- 
টেক্সটাইল প্রিন্টিং বলতে যে কোন ধরনের ফেব্রিক যেমন  কটন,লিলেন, রেশম, পশম কিংবা কৃত্রিম আঁশের তৈরি ফেব্রিকের স্থান বিশেষে রং ফুটিয়ে তোলাকে বুঝায়

ডাইং প্রিন্টিং এর মধ্যে পার্থক্য:- 
ডাইং প্রসেস সাধারণত সমস্ত ফেব্রিকে রং করা হয় আর প্রিন্টিং আংশিক রং করা হয়ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন নকশা করা যায় বলে প্রিন্টিং এর গুরুত্ব প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি তাই প্রিন্টেড ফেব্রিকের ব্যবহার যেমন বেশি, চাহিদা তেমনি অপরিসীম। ডাইং করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের রং রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের মেশিনারীজ ব্যবহার করতে হয় অনুরুপ ভাবে প্রিন্টিং রর জন্য বিভিন্ন ধরনের রং,রাসায়নিক পদার্থ এবং প্রিন্টিং মেশিনারীজ ব্যবহার করা হয়

ডাইং এবং প্রিন্টিং এর মধ্যে  ব্যবহারে যেমন  পার্থক্য আছে তেমনি পার্থক্য রয়েছে প্রসেসিংএ। সাধারণত ফেব্রিককে রং দ্রবণে ডুবিয়ে ডাইং করা হয় যার জন্য সমস্ত ফেব্রিকে একই রং পরিলক্ষিত হয় অপর পক্ষে প্রিন্টিং প্রসেসে নির্দিষ্ট  ডিজাইন অনুযায়ী ফেব্রিকের নির্দিষ্ট অংশে থিকেনিং এজেন্ট এর সাহায্যে রং প্রয়োগ করা হয় ফলে প্রিন্টিং ফেব্রিক অধিক আকর্ষনীয় হয়

বস্ত্র শিল্পে ডাইং এর প্রয়োজনীয়তা যেমন আছে তেমনি প্রিন্টিং এর প্রয়োজনীয়তাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক ডাইং প্রিন্টিং প্রসেস ফেব্রিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা  এবং বৈচিত্র যোগ করেছে। ফলে নতুন নতুন পদ্ধতিতে বর্তমানে ডাইং প্রিন্টিং হচ্ছে এবং পুরাতন পদ্ধতি ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে

প্রিন্টিং এর প্রসেস সিকোয়েন্স


গ্রে ফেব্রিক
গ্রে ফেব্রিক প্রস্তুতকরন
প্রিন্টিং পেস্ট প্রস্তুতকরন
প্রিন্টিং
ড্রাইং
স্টিমিং
আফটার ট্রিটমেন্ট

প্রিন্টিং এর জন্য ফেব্রিক প্রস্তুতকরনঃ- 
যে ফেব্রিক প্রিন্টিং করা হবে সেই ফেব্রিক কোন ফাইবারের তৈরী তা প্রিন্টিং করার পূর্বে জেনে নিতে হবে । কারণ প্রত্যেকটিতে প্রাকৃতিক কৃত্রিম আঁশের নিজস্ব বৈশিষ্ট আছে। সে জন্য প্রতিটি আঁশের রং করার পদ্ধতি যেমন আলাদা, তেমনি প্রিন্টিং পদ্ধতি আলাদা

প্রিন্টিং করার জন্য কটন, লিনেন, ভিসকস রেয়ন, সেলুলোজ এসিটেট, নাইলন এবং টেরিলিং, পলিষ্টার, উল প্রাকৃতিক সিল্ক ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তৈরী করতে হয় এই সকল ফেব্রিকের প্রতিটি ফাইবার এর ভৈতিক এবং রাসায়নিক গুনাগুন ধর্ম ভিন্নতর গ্রে ফেব্রিককে প্রিন্টিং এর জন্য প্রস্তুত করতে বিভিন্ন প্রসেস আছে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তা প্রিন্টিং এর জন্য প্রস্তত করা হয়ে থাকে
সরাসরি লুম হতে প্রাপ্ত গ্রে ফেব্রিকের উপর প্রিন্টিং ভাল হয় না স্কাওয়ারিং ব্লিচিং করা ফেব্রিকে সাধারণত প্রিন্টিং করা হয়ে থাকে গ্রে ফেব্রিক প্রিন্ট করতে হলে সাবান সোডার সাহায্যে উত্তমরুপে ব্লিচ করে নিতে হয় তা নাহলে প্রিন্ট সর্বত্র সমান হয় না। অন্য কথায় প্রিন্টের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় না এবং প্রিন্টের রং আশানুরুপ  স্থায়ী হয় না

প্রিন্টিং এর প্রকারভেদঃ- 
টেক্সটাইল প্রিন্টিংকে প্রধানত দুই ভাগে করা যায় যথাঃ
                           ১.প্রিন্টিং পদ্ধতি
                           ২.প্রিন্টিং স্টাইল
প্রিন্টিং পদ্ধতিঃ
প্রিন্টিং এর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের মেশিনারীজ ব্যবহার করে থাকি। বিভিন্ন ধরনের  মেশিন দ্বারা বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রিন্টিং করা হয়ে থাকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে একজন প্রিন্টার নিজের প্রয়োজন এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রিন্টিং পদ্ধতি বেছে নিয়ে থাকেন
সাধারণত চারটি পদ্ধতিতে টেক্সটাইল প্রিন্টিং করা হয় যথাঃ
                           ১.হ্যান্ড ব্লক প্রিন্টিং
                           ২.ষ্টেনশীল প্রিন্টিং
                           ৩.স্কীন প্রিন্টিং
                           ৪.মেশিন বা রোলার প্রিন্টিং

ইনশাল্লাহ পরবর্তী ব্লগে এই প্রিন্টিং পদ্ধতি নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব



*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত

References:-
1.Textile Printing
By. Fred F. Jacobs
2.An Introduction to Textile Printing
By. W. Clarke
3. Textile Printing & Finishing
By. MOHD. SHAHJAHAN FEROZE

Post a Comment

2 Comments

  1. Replies
    1. Stay with us In-Sha-Allah we will provide our best on textile. And also thanks to share your felling with us.

      Delete