Ticker

6/recent/ticker-posts

"১৪টি টেক্সটাইল টেস্টিং"


টেক্সটাইল টেস্টিংঃ 
টেক্সটাইল টেস্টিং এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ফেব্রিকের ফিজিক্যাল এবং ক্যামিক্যাল টেস্ট করা হয় যেমনঃ র‌্যাবিং টেস্ট, কালার ফাস্টনেস টেস্ট, ব্লাস্টিং টেস্ট ইত্যাদি সাধারণত বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে এই টেস্ট গুলো করা হয় আজকে আমরা টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্টিতে বিভিন্ন টেস্ট কেন করা হয়, সেই সব টেস্ট গুলো নিয়ে জানব

১. কালার ফাস্টনেস টু ওয়াশ
২. কালার ফাস্টনেস টু ওয়াটার
৩. কালার ফাস্টনেস টু  পারস্পিরেশন
৪. কালার ফাস্টনেস টু স্যালিবা
৫.র‌্যাবিং টেস্ট
৬.ক্রস স্টেইনিং টেস্ট
৭.পিলিং টেস্ট
৮.ফেনলিল ইয়োলিং টেস্ট
৯.পি এইচ টেস্ট
১০.ব্লাস্টিং টেস্ট
১১.ফাইভ টাইম ওয়াশ টেস্ট
১২.স্পাইলিটি টেস্ট
১৩.সাবলাইমেশন টেস্ট
১৪.লাইট বক্স টেস্ট


চিত্রঃ টেস্টিং ল্যাব (গুগল)


প্রত্যেকটি টেস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে নিচে বর্ননা করা হলঃ

কালার ফাস্টনেস টু ওয়াশঃ 
ফেব্রিক ওয়াশ করার পর তার কালার  ঠিক থাকে কিনা তা টেস্ট করার জন্য এই টেস্ট করা হয়
কালার ফাস্টনেস টু ওয়াটারঃ 
ডাইড , প্রিন্ট্রেড ফেব্রিকের কালার পানিতে ঠিক থাকে কিনা তা টেস্ট করার জন্য এই টেস্ট করা হয়
কালার ফাস্টনেস টু পারস্পিরেশনঃ
ঘামে ফেব্রিকের কালার ঠিক থাকে কিনা তা জানার জন্য এই টেস্ট করা হয় এই টেস্ট দুইটি মিডিয়ামে করা হয়, যেমনঃ এসিডিক আলকালি মিডিয়ামে মেইলের ঘাম আলকালি মিডিয়ামে টেস্ট করা হয় এবং ফিমেইলের ঘাম এসিডিক মেডিয়ামে টেস্ট করা হয়
কালার ফাস্টনেস টু স্যালিবাঃ 
এই টেস্ট সাধারণত কিডস গার্মেন্টসে করা হয় কিডস গার্মেন্টসে এই টেস্ট করা বাধ্যতামূলক বাচ্চাদের মুখের লালা ফেব্রিকের কালার নস্ট করে কিনা তা জানার জন্য কিডস গার্মেন্টেসে এই টেস্ট করা বাধ্যতামূলক
র‌্যাবিং টেস্টঃ
ফ্রিকশনের ফলে ফেব্রিকে কালার উঠে কিনা তা জানার জন্য এই টেস্ট করা হয় এই টেস্ট দুই অবস্থায় করা হয় যেমনঃ ওয়েট ড্রাই অবস্থায় এর কারণ হচ্ছে ফেব্রিক ওয়েট ড্রাই অবস্থায় ফেব্রিকের কালার উঠে কিনা তা জানার জন্য এই টেস্ট করা হয় একে যথাক্রমে ওয়েট ড্রাই রাবিং টেস্ট বলা হয়
ক্রস স্টেইনিং টেস্টঃ 
মাল্টি ফেব্রিক বা গার্মেন্টসে ওয়াশের পর কালার ছড়িয়ে পড়ে কিনা বা দাগ পড়ে কিনা তা জানার জন্য এই টেস্ট করা হয়
পিলিং টেস্টঃ 
ফেব্রিকের সাথে ফেব্রিকে ফ্রিকশনের ফলে ফেব্রিকের ছোট ফাইবার গুলো জোট বেঁধে ছোট ছোট গুটির সৃষ্টি করে, একে পিলিং বলে এই পিলিং এর ফলে ফেব্রিকের কোয়ালিটি খারাপ হয়, কোয়ালিটি খারাপ হওয়ার কারনে বায়ার তা নিতে চায় না তাই বায়ারের চাহিদা অনুসারে এই টেস্ট করা হয়
ফেনোলিক ইয়োলিং টেস্টঃ
কোন ফেব্রিকের লট দীর্ঘদিন ফেলে রাখলে ফেব্রিক লটে ইয়োলিশ ভাব চলে আসে, সাধারণত হোয়াট লটের ফেব্রিক দীর্ঘদিন ফেলে রাখলে এই সমস্যাটি দেখা যায় তাই এই টেস্ট ফেব্রিক লটে করা হয় এবং এই টেস্ট পাশ করলে অনেক দিন পর্যন্ত ফেব্রিক লট ভাল থাকে
পি এইচ টেস্টঃ
ডায়িং এর প্রিট্রেটমেন্টে স্কাওরিং প্রসেসে আমরা ক্ষার ব্যবহার করি এই ক্ষার আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর তাই ফেব্রিক নিউট্রাল আছে কিনা তা চেক করার জন্য পি এইচ টেস্ট করা হয়
ব্লাস্টিং টেস্টঃ 
ফেব্রিক বা গার্মেন্টস কত টুকু প্রেসারে ছিড়েঁ যাবে তা জানার জন্য ব্লাস্টিং টেস্ট করা হয়
ফাইভ টাইম ওয়াশ টেস্টঃ 
পাঁচবার নরমাল ওয়াশ করার পর গার্মেন্টসে কালার ঠিক থাকে কিনা তা জানার জন্য এই টেস্ট করা হয়
স্পাইরিলিটি টেস্টঃ
গার্মেন্টসের ওয়াশের পূর্বে গার্মেন্টসের ডাইমেনশ্ন পরিমাপ করা  হয় এবং ওয়াশের পর গার্মেন্টসের ডাইমেনশন পরিমাপ করা হয় গার্মেন্টসের ওয়াশের পর ইহার সেলাই বরাবর কিছুটা বেকেঁ যায়, গার্মেন্টসের এই ধর্মকে স্পাইরিলিটি বলা হয় আর এই ধর্ম পরিমাপ করার টেস্টকে স্পাইরিলিটি টেস্ট বলা হয়
সাবলাইমেশন টেস্টঃ
গার্মেন্টসের কেয়ার লেভেলের কালার ঠিক আছে কিনা তা জানার জন্য এই টেস্ত করা হয়
লাইট বক্স টেস্টঃ
ফেব্রিকে অফটিক্যাল ব্রাইটেনিং আছে কিনা তা লাইট  বক্সের মাধ্যমে জানা যায় বায়ারের চাহিদা অনুসারে এই লাইট বক্স কেনা হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট থাকে ডি ৬৫ লাইট বক্স এই লাইট বক্সের সাহায্যে বায়ারের চাহিদা অনুসারে ফেব্রিকের সেড ওকে আছে কিনা তাও জানা যায়


*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত

Post a Comment

1 Comments