ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা শেয়ার করি আজকে একটা। ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছি খুব বড় একটা গ্রুপ অফ কম্পানিতে। গেটে নাম ঠিকানা লিখলাম। একজন সিকিউরিটি গার্ড সাথে করে নিয়ে এইচ আরে বসালেন। এবার শুরু হোল অপেক্ষার পালা। কোন রিটেন হবেনা সরাসরি ভাইভা। অপেক্ষা করতে করতে এক ঘন্টা পার হোল। এবার ভাইভা শুরু হোল। প্রায় ৩০-৪০ মিনিট একটানা ভাইবা হোল। ভালই ভাইভা দিলাম।
এরপর আবার অপেক্ষা। বিকালে এইচ আর থেকে স্যালারি জিজ্ঞাস করা হোল। আমি এক্স্যাক্ট কত স্যালারি পাই বললাম। আবার কনফার্ম হয়ে নিল এবং জিজ্ঞাস করল যেটা বললেন এটাই লিখবতো? আমি বললাম শিওর। আসলে কনফার্ম হয়ে নেওয়ার কারন ছিল আমি যা স্যালারি পাই সেখানে ফ্র্যাকশন আছে। সাধারণত যারা জবে থাকা অবস্থায় ভাইভা দেন তারা যা পান তারচেয়ে ৩-৪-৫ হাজার বা পজিনভেদে বেশ ভাল এমাউন্টের টাকা বাড়িয়ে বলেন এবং রাউন্ড ফিগারেই বলেন।
যাইহোক আমি এক্স্যাক্ট যা পাই তাই বললাম এবং আমার ডিমান্ডও বললাম। তারা পরে জানাবে বলে কথা বলল। যাইহোক পরেরদিন আমি স্যালারি স্ট্যাটমেন্টের পিক পাঠানোর পর তারা ফোন দিল। আমাকে তারা একটা এমাউন্ট অফার করল। আমি তখন মনে মনে বললাম আমি যদি ৩-৪ হাজার টাকা বাড়িয়ে বলতাম বর্তমান স্যালারি তাহলে তারাও আমার ডিমান্ডেড স্যালারি অফার করত। তারা বলেছিল, "আপনিতো এতো পান তাই আমরা আপনাকে এত দিতে পারব"।
ভাইভার এই ঘটনা শেয়ার করার পর কয়েকজন আমাকে বলেছিল আরে ওদের রেঞ্জতো বেশী তুমি বর্তমান স্যালারি কম বলেছ তাই তারা কম অফার করেছে। একটু বাড়িয়ে বলবা না?
আমার চিন্তাটা আসলে অন্য জায়গায়। আমি যদি ৩-৪ হাজার টাকা বাড়িয়ে বলি এবং এরা যদি সেই অনুপাতে আমাকে স্যালারি অফার করে তাহলে সেই টাকাটা আমার জন্য হালাল হবে কিনা? এই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাই নিজেকে। হালাল হওয়ার পক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড় করাই। নিজের মনকে অনেক বুঝ দেই। কিন্তু কেন যেন মনে শান্তি পাইনা মিথ্যা বলে স্যালারি বাড়িয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা। যাই হোক একই প্রশ্ন এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকেও জানাচ্ছি। আশা করি নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তর দিবেন।
*লেখক স্বত্ত্বঃ- Mamun Rezwan
*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
2 Comments
Good writing
ReplyDeleteThanks for your valuable comment.
Delete