Ticker

6/recent/ticker-posts

কালার ফাস্টনেস টু পার্সপিরেশন টেস্ট ( ISO 105 E04)"

কালার ফাস্টনেস টু পার্সপিরেশনঃ

কালার ফাস্টনেস টু পার্সপিরেশন বলতে গা ঘামার ফলে ডাইড ফেব্রিক ফেড এবং স্টেইন না হওয়া বুঝায়।গার্মেন্টস গায়ের সাথে লেগে থাকার ফলে পার্সপিরেশন হলে ডিসকালার হয়ে যায়।ডাইড ফেব্রিক কালার রেজিস্টান্ট কি না তা এসিড এবং এলকালি পার্সপিরেশন এর মাধ্যমে নির্ধারন করা হয়।বিশেষকরে স্পোর্ট ওয়ার এবং হেভি ড্রেস এর ক্ষেত্রে এই টেস্ট বিশেষভাবে করা হয়, তাছাড়া নরমাল ক্লথও টেস্ট করা হয়ে থেকে।গ্রে স্কেলের মাধ্যমে স্পেসিমেনের কালার চেঞ্জ এবং স্টেইনিং এ্যাসেসিং করা হয়।

ইকুইপমেন্টঃ
১. এলকালি সল্যুশনের জন্য কেমিক্যাল
২. এসিড সল্যুশনের জন্য কেমিক্যাল
৩. ডিসটিল্ড ওয়াটার
৪. ফ্লাট বাটম ডিস
৫. পিএইচ মিটার
৬. পার্সপিরোমিটার
৭. মাল্টি ফাইবার (৬ ধরনের ফাইবার থাকে, যথা- অ্যাসিটেট, কটন, নাইলন, পলিয়েস্টার, আক্রাইলিক, উল)
৮. অ্যাক্রাইলিক প্লেট / গ্লাস প্লেট (১১)
৯. ইনকিউবাটর / ওভেন, (৩৭ প্লাস মাইসাস ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস)
১০. লাইট বক্স (ডি৬৫ লাইট সোর্স)
১১. গ্রে স্কেল

     চিত্রঃ পার্সপিরেশন টেস্ট ইকুইপমেন্ট (গুগল)

টেস্ট স্পেসিমেনঃ
১। (১০ * ৪) সে.মি. সাইজের প্রত্যেক কালারের দুটি করে স্পেসিমেন নেওয়া হয়, একটি এসিডের জন্য অন্যটি এলকালির জন্য।
২।সলিড এবং মাল্টি কালারের টেস্ট করা হয়।
৩। মাল্টি কালার হলে প্রত্যেক কালারের টেস্ট নেওয়া হয়।
৪। ফেস সাইড এবং ব্যাক সাইডের কালার আলাদা অথবা কনস্ট্রাকশন ভিন্ন হলে উভয় সাইডের টেস্ট করা হয়।
৫। অল ওভার প্রিন্টের ক্ষেত্রে যদি ব্যাক সাইডের কালার ফেস সাইডে ভালভাবে বুঝা যায়,তাহলে শুধু ফেস সাইডের টেস্ট করা হয়।

সল্যুশন প্রিপারেশন (ISO 105-E04)ঃ

এলকালির ক্ষেত্রেঃ
১। ০.৫ গ্রাম/লিটার- এল হিস্টিডিন নোহাইড্রোক্লোইড মনো হাইড্রেট (C6H9O2N3.HCl.H20)
২। ৫ গ্রাম/লিটার- সোডিয়াম ক্লোরাইড(NaCl)
৩। ২.৫ গ্রাম/লিটার ডাইসোডিয়াম হাইড্রোজেন অর্থফসপেট ডাইহাইড্রেট (Na2HPO4.2H2O)

এলকালি সল্যুশনের জন্য পিএইচ ৮ (প্লাস মাইনাস ০.২), ০.১ মোল সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্বারা পিএইচ কন্ট্রোল করা হয়।

এসিডের ক্ষেত্রেঃ
১। ০.৫ গ্রাম/লিটার- এল হিস্টিডিন মনোহাইড্রোক্লোইড মনো হাইড্রেট (C6H9O2N3.HCl.H20)
২। ৫ গ্রাম/লিটার- সোডিয়াম ক্লোরাইড(NaCl)
৩। ২.২ গ্রাম/লিটার সোডিয়াম ডাইহাইড্রোজেন অর্থফসপেট ডাইহাইড্রেট (NaH2PO4.2H20)

এসিড সল্যুশনের জন্য পিএইচ ৫ (প্লাস মাইনাস ০.২), ০.১ মোল সোডিয়াম হাইড্রো অক্সাইড দ্বারা পিএইচ কন্ট্রোল করা হয়।

নোটঃ
৪ গ্রাম সোডিয়াম হাইড্রো অক্সাইড এক লিটার ডিসটিল্ড ওয়াটারে মিশানোর মাধ্যমে ০.১ মোল সোডিয়াম হাইড্রো অক্সাইড প্রস্তুত করা হয়।

প্রসিডিউরঃ
১. স্পেসিমেন সাইজ (১০ * ৪) সে.মি।
২. একই সাইজের মাল্টি ফাইবার নিয়ে ফেস সাইড এবং শর্টার সাইডে (৪ সে.মি.) সুইন করা হয়।
৩. পার্সপিরোমিটার এবং অ্যাক্রাইলিক প্লেট ৩০ মিনিট ধরে প্রি-হিট করা হয়।
৪. একটি স্পেমিনের জন্য ডিসে ১০০ মিলি. সল্যুশন নিয়ে তাতে ৩০ মিনিট স্পেসিমেন ভিজিয়ে রাখা হয়।
৫. এই ৩০ মিনিটের মধ্যে ৩ বার গ্লাস রড / প্লেট দিয়ে স্পেসিমেন ভাল করে ওয়েট করা হয়।
৬. একটি স্পেসিমেন দুটি গ্লাস প্লেটের মাঝে এইভাবে মোট ১১ টি গ্লাস প্লেটে ১০ টি স্পেসিমেন তুলে, সবগুলো একটি পার্সপিরোমিটারে রাখা হয়।যদি স্পেসিমেন কমও হয় তারপরেও ১১ টি প্লেট পার্সপিরোমিটারে দিতে হবে।তারপর পার্সপিরোমিটারের উপর ৫ কেজি লোড দিয়ে লক করে, লোড রিমুভ করতে হবে।
৭. পার্সপিরোমিটার ৪ ঘন্টা (৩৭ প্লাস মাইনাস ২) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওভেন বা ইনকিউবিটরে রাখা হয়।
৮. ৪ ঘন্টা পরে হট ওভেনে ৪০-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে শুকানো হয়।তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রির বেশি নয়।

রেজাল্টঃ-
গ্রে স্কেলের মাধ্যমে চেক করে রেজাল্ট দেওয়া হয়।চেঞ্জিং কালার,কালার স্টেইনিং এবং ক্রস স্টেইনিং এ্যাসেসমেন্ট করে রেটিং দেওয়া হয়।গ্রে স্কেলের ৯ পার্ট (৫ হতে ১)।

Post a Comment

0 Comments