ইন্টাররেস্টিং তথ্যের আগে চলুন দেখে নেই ChatGPT বলতে আসলে কি বুঝায়?
Chat মানেতো আমরা সবাই বুঝি কনভার্শেসন বা কতোপকোথন অর্থাৎ আমরা ম্যাসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটস এপে যে চ্যাট করি এটাই। GPT এর পূর্ণরূপ Generative Pre-trained Transformer. অর্থাৎ এটা এমন একটা সফটওয়্যার যাকে ট্রেইন করা যায় বা প্রশিক্ষন দেওয়া যায়। তাকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সে তথ্যের আলোকে আপনি যা চাইবেন তাই সে আপনাকে দিতে পারবে। আপনি চাইছেন একটা কবিতা লিখতে ChatGPT কে বলুন , সে সাথে সাথে আপনাকে একটা কবিতা লিখে দিবে। এমনকি থিসিস পেপার, রিসার্চ পেপার, যেকোন ধরনের ক্রিয়েটিভ ডিজাইন এমনকি কোডও লিখে দিতে পারে আপনার চাহিদা অনুসারে। ২০২১ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটে যত টেক্সট আছে সব ChatGPT এর কাছে আছে। অর্থাৎ এই সব তথ্য ব্যবহার করে আপনাকে সহযোগীতা করার জন্য ChatGPT কে ট্রেইন করা হয়েছে।
এবার ইন্টারেস্টিং তথ্যের দিকে যাই চলুন। ChatGPT সফটওয়্যার তৈরী করেছে Open AI কোম্পানি যার প্রতিষ্ঠালগ্নের সদস্য ছিলেন ইলন মাস্ক। এই কোম্পানি যদিও খুব বেশী পুরাতন নয়। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান থেকে ইলন মাস্ক বেরিয়ে আসেন ২০১৮ সালে। যদিও তিনি এখনও এডভাইসোরি বোর্ডে আছেন।
ইন্টারনেট শুরু হওয়ার পর থেকে কোন সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন এত দ্রুত ১ মিলিয়ন ইউজার পায়নি যেটা পেয়েছে ChatGPT। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি জনপ্রিয় সাইটের ১ মিলিয়ন ইউজার পেতেও মোটামুটি ১মাস / ২মাস বা ৩ মাসের বেশী সময় লেগেছে। কিন্তু ChatGPT ১ মিলিয়ন ইউজার পেয়েছে মাত্র ৫ দিনে।
এখন ভয়ংকর বা ইন্টারেস্টিং ব্যপার হোল ChatGPT কিন্তু নিজস্ব তথ্য ব্যবহারের পাশাপাশি আপনার সাথে কনভার্শেসনের সময়ও ট্রেইনড হচ্ছে। AI বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স মূলত এই ধরনের কাজই করে। যেটা ইতোমধ্যে ফেসবুক, মেটা, গুগল,মাইক্রোসফট সহ প্রায় ৪০০-৪৫০ টা স্টার্টআপ কোম্পানি AI নিয়ে কাজ করছে। সিলিকন ভেলির পরবর্তী ট্রিলিয়ন ডলারের বিজনেস এই AI যা আমরা দেখতে পাচ্ছি এই ChatGPT তে। মাইক্রোসফট ইতোমধ্যে ১.৩ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেছে। মুলত মাইক্রোসফটের Bing প্ল্যাটফর্মটাকে ডেভেলপ করা এবং Google কে টেক্কা দেওয়াই মুল উদ্দেশ্য। গুগলও তাদের সব কর্মীদের AI এর উপর যত বেশী সোর্স আছে সংগ্রহ করতে বলেছে।
এখন Google মোটামুটি একটা চ্যালেঞ্জে বা আরেকটু স্পষ্ট করে বলতে চাইলে ট্রাবলে পড়ে গেছে। এতদিন ইন্টারনেটে মুলত আমরা কিছু খুঁজতে চাইলে সেই বিষয়টা লিখে সার্চ বাটনে চাপ দিতাম। তখন গুগলের SEO (Search Engine Optimization) আমাদের জিজ্ঞাসিত বিষয়ের ওয়েবসাইট বা ভিডিও বা পিডিএফ আমাদের সামনে হাজির করত। কিন্তু ChatGPT কাজ করে ভিন্নভাবে উদাহরনে যাওয়া যাক চলুন। ধরুন আপনার কোন একটা আইনের রুলস জানতে হবে। ChatGPT করবে কি আপনাকে সরাসরি আইন বা "ল"টা আপনাকে টাইপ করে দিবে। যেখানে গুগল এই আইনটা যে যে সাইটে বা যে যে পিডিএফে এভেইলেবল ছিল সেই সাইটগুলোর লিংক আপনাকে দিয়ে দিতো। তখন আপনাকে লার্নিং করে বা পড়ে পড়ে আপনাকে আপনার কাংখিত "ল"টা বা আইনটা বের করতে হোত।
এটা একইসাথে বিপ্লব এবং একইসাথে ভয়ংকর বিপ্লব বলা হচ্ছে কারন। ChatGPT আপনার লার্নিং বা শেখার ক্ষমতা নষ্ট করে দিবে। আপনি যখন রেডিমেড যা চাইছেন তাই পাবেন তখন স্বভাবতই আপনার কষ্ট করে একটা আর্টিকেল পড়ে বা মেধা খাটিয়ে কোন একটা প্রবলেম সল্ভ করার আগ্রহ থাকবেনা। বিশেষ করে ধরা যাক স্কুল কলেজের বাচ্চাদের মডার্ন টেকনোলোজির উপর একটা আর্টিকেল দরকার হোল ChatGPT কে বললে সাথে সাথে লিখে দিবে। একটা সুন্দর পিকচার বা ব্যানার ডিজাইনের দরকার হোল ChatGPT কে বললে সাথে সাথে করে দিবে। আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হবেনা।
0 Comments