L.C.L= Lower Control Limit
U.C.L= Upper Control Limit
U.C.L= Upper Control Limit
L.C.L এবং U.C.L বুঝতে হলে প্রথমে আমাদের এর সাথে জড়িত বেশ কিছু টার্ম জানতে হবে। প্রথমে চলুন জেনে নেই L.C.L এবং U.C.L কোথায় ব্যবহৃত হয়।
- লাইন ব্যালেন্সিং করতে
- ওয়ার্ক লোডের অবস্থা জানতে
- প্রসেস শেয়ারিং করতে
- বেসিক পিচ টাইম থেকে অপারেশনের অবস্থান কত দূরে সেটা বের করতে
Line Balancing:-
একটি সুইং লাইনের প্রত্যেকটা অপারেশনের আউটপুট অর্থাৎ প্রোডাকশন সমান পরিমানে উৎপাদন করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেই পদ্ধতিকে লাইন ব্যালেন্সিং বলে। অর্থাৎ প্রত্যেকটা অপারেশনের আউটপুটকে একটা নির্দিষ্ট পরিমানে নিয়ে আসা যেখানে প্রত্যেক অপারেটরের উপর কাজের পরিমান সমান ভাবে অর্পিত হয়।
একটি সুইং লাইনের প্রত্যেকটা অপারেশনের আউটপুট অর্থাৎ প্রোডাকশন সমান পরিমানে উৎপাদন করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেই পদ্ধতিকে লাইন ব্যালেন্সিং বলে। অর্থাৎ প্রত্যেকটা অপারেশনের আউটপুটকে একটা নির্দিষ্ট পরিমানে নিয়ে আসা যেখানে প্রত্যেক অপারেটরের উপর কাজের পরিমান সমান ভাবে অর্পিত হয়।
Basic Pitch Time:-
একটা গার্মেন্টসের মোট SMV-কে মোট ওয়ার্ক স্টেশন বা মোট অপারেটর দ্বারা ভাগ করলে আমরা বেসিক পিচ টাইম পাই। বেসিক পিচ টাইম থেকে আসলে কি জানা যায়!
বেসিক পিচ টাইমের মাধ্যমে আমরা আসলে একটা গার্মেন্টসের প্রত্যেকটা প্রসেসের অপারেশন টাইমটা জানতে পারি। অর্থাৎ প্রত্যেক অপারেটর যদি তার প্রত্যেক পিসের প্রসেস শেষ করতে বেসিক পিচ টাইমের সম পরিমান সময় ব্যবহার করে তবে আমরা বলতে পারি লাইনটা ১০০% ব্যালেন্সড।
উদাহরনে যাওয়া যাক,
যদি একটি গার্মেন্টসের SMV ৩১.৮০ হয় এবং মোট অপারেটরের সংখ্যা হয় ৩৩ তাহলে,
বেসিক পিচ টাইম= এসএমভি / মোট অপারেটর
=৩১.৮০/৩৩
=০.৯৬ মিনিট
অর্থাৎ এই গার্মেন্টসটা প্রস্তুত করতে প্রত্যেক অপারেটর যদি তাদের প্রসেস ০.৯৬ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারে তবে বলা যায়, লাইনটা ১০০% ব্যালেন্সড হয়েছে।
L.C.L
L.C.L (Lower Control Limit) অর্থাৎ উপরোক্ত গার্মেন্টসটি প্রস্তুত করতে কোন একটা প্রসেস, বেসিক পিচ টাইম থেকে সর্বোচ্চ কতটুকু কম সময়ে করতে পারবে এবং এর ফলে বোটলনেক তৈরী হবেনা সেই লিমিটকে বা সীমাকে Lower Control Limit বলে।
আবার উদাহরনে যাওয়া যাক,
উপরে উল্লেখিত গার্মেন্টসে আমরা বেসিক পিচ টাইম পেয়েছি ০.৯৬ মিনিট ।
এই পিচ টাইম অনুসারে Lower Control Limit হবে,
০.৯৬-(০.৯৬*১৫%) = ০.৮২
অর্থাৎ, এই গার্মেন্সটি সম্পুর্ণ করতে প্রত্যেকটা অপারেশন ০.৯৬ থেকে ০.৮২ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করলে স্মুথ একটা লাইন ব্যালেন্সিং পাওয়া যাবে।
চিত্রঃ- লাইন ব্যালেন্সিং ডায়াগ্রাম
এই লাইন ব্যালেন্সিং ডায়াগ্রামে, আমরা উপরোক্ত গার্মেন্টসের চার্টটা দেখতে পাচ্ছি। লাল চিহ্নিত আনুভুমিকভাবে সোজা লাইনটি Lower Control Limit এর লাইন। যার ভেল্যু ০.৮২। ব্লু কালারের লাইনটি টাইম স্টাডি গ্রাফ বা প্রসেস সাইকেল টাইম। এই টাইম স্টাডি গ্রাফটি খেয়াল করলে দেখতে পারব চারটি প্রসেস Lower Control Limit এর লাল লাইনটি অতিক্রম করেছে, যার মধ্যে সর্বনিম্ন সাইকেল টাইম ০.৬৭ (১ চিহ্নিত পয়েন্টটি)। বেসিক পিচ টাইম ০.৯৬ (মাঝখানের সবুজ চিহ্নিত লাইন) এর হিসাবে Lower Control Limit ছিল ০.৮২ কিন্তু এটা Lower Control Limit এর টাইমের চেয়ে অনেক , যা বোটলনেক। কারন এই প্রসেসের অপারেটরের ক্যাপাসিটি বেশী হওয়ার দরুন এখানেও ডাম্পিং হবে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে অতিরিক্ত ক্যাপাসিটির এই অপারেটরের সাইকেল টাইমকে Lower Control Limit এর লাইনের ভিতরে নিয়ে আসা। অর্থাৎ নিজের প্রসেসের সাথে সাথে তাকে অন্য কোন প্রসেস দেওয়া বা অন্য কোন অপারেটরের প্রসেস শেয়ার করা। এতে করে তার সাইকেল টাইম বাড়বে এবং Lower Control Limit এর ভিতরে প্রসেস টাইম চলে আসবে।
U.C.L
U.C.L (Upper Control Limit) অর্থাৎ উপরোক্ত গার্মেন্টসটি প্রস্তুত করতে কোন একটা প্রসেস, বেসিক পিচ টাইম থেকে সর্বোচ্চ কতটুকু বেশী সময়ে করতে পারবে এবং এর ফলে বোটলনেক তৈরী হবেনা সেই লিমিটকে বা সীমাকে Upper Control Limit বলে।
উদাহরনে যাওয়া যাক,
উপরে উল্লেখিত গার্মেন্টসে আমরা বেসিক পিচ টাইম পেয়েছি ০.৯৬ মিনিট ।
এই পিচ টাইম অনুসারে Lower Control Limit হবে,
০.৯৬+(০.৯৬*১৫%) = ১.১০
অর্থাৎ, এই গার্মেন্সটি সম্পুর্ণ করতে প্রত্যেকটা অপারেশন ০.৯৬ থেকে ১.১০ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করলে স্মুথ একটা লাইন ব্যালেন্সিং পাওয়া যাবে।
এই লাইন ব্যালেন্সিং ডায়াগ্রামে, পার্পেল (বেগুনী) চিহ্নিত আনুভুমিকভাবে সোজা লাইনটি Upper Control Limit এর লাইন। যার ভেল্যু ১.১০। টাইম স্টাডি গ্রাফটি খেয়াল করলে দেখতে পারব চারটি প্রসেস Upper Control Limit এর পার্পেল (বেগুনী) লাইনটি অতিক্রম করেছে, যার মধ্যে সর্বোচ্চ সাইকেল টাইম ১.২১ (২ চিহ্নিত পয়েন্টটি)। অর্থাৎ বেসিক পিচ টাইম ০.৯৬ (মাঝখানের সবুজ চিহ্নিত লাইন) এর হিসাবে Upper Control Limit ছিল ১.১০ কিন্তু এটা Upper Control Limit এর টাইমকে অতিক্রম করেছে , যা বোটলনেক। কারন এই প্রসেসের অপারেটরের ক্যাপাসিটি কম হওয়ার দরুন এখানেও ডাম্পিং হবে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে এই অপারেটরের সাইকেল টাইমকে Upper Control Limit এর লাইনের ভিতরে নিয়ে আসা। অর্থাৎ নিজের প্রসেসকে বেশী ক্যাপাসিটির অন্য কোন প্রসেসের সাথে শেয়ার করা। এতে করে তার সাইকেল টাইম কমবে এবং Upper Control Limit এর ভিতরে প্রসেস টাইম চলে আসবে।
*লেখক স্বত্ত্বঃ- Mamun Rezwan
*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
1 Comments
বাহ ভাই দারুণ। অত্যন্ত সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন। ধন্যবাদ। গার্মেন্টস আই ই নিয়ে আরো বেশি বেশি আর্টিকেল চাই।
ReplyDelete