Ticker

6/recent/ticker-posts

কর্পোরেট_ফ্যাক্ট_২৪

 সব সময় আপনারা ইন্টার্ভিউ দিতে গিয়ে কি ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন সেগুলোই প্রকাশ করেন কিন্তু ইন্টার্ভিউ নিতে গিয়ে কি কি ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হতে হয় সেগুলো খুব একটা প্রকাশ পায়না। পজিশনে ছোট হওয়া স্বত্ত্বেও আমার বেশ কিছু ইন্টার্ভিউ এর প্রশ্ন তৈরী করার এবং খাতায় নম্বর দেওয়ার সুযোগ হয়েছে। এছাড়া কাটিং রিলেটেড স্টাফদেরও ইন্টার্ভিউ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে। 

প্রথমে আই ই ডিপার্টমেন্টের ইন্টার্ভিউয়ের খাতা দেখার কয়েকটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আমাদের প্রশ্নের প্যাটার্নে সাধারনত M.C.Q , কিছু  Elaborate প্রশ্ন, একটা ম্যাথ এবং একটা স্যাম্পলের প্রসেস ব্রেকডাউন থাকে। তো প্রসেস ব্রেকডাউনের একটা মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। একটা আইটেমের প্রসেস ব্রেকডাউন দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটা প্রসেস লিখেছে, "Book panel join" খাতা দেখার সময় এই প্রসেসটা পড়ে প্রথমে কনফিউশড হয়ে গিয়েছিলাম। এটা ব্যাক প্যানেল হবে নাকি চেস্ট প্যানেল হবে ভেবে। (উত্তরপত্রের ছবি দিয়ে দিচ্ছি)। এটা খাতা কাটার সময় আমার কলিগকে দেখালাম পরে স্যাম্পল এনালাইসিস করে শিওর হলাম এটা ব্যাক প্যানেল হবে। আমরা বেশ কিছুক্ষন হাসলাম এই ভুল দেখে। 

সত্যি কথা বলতে কি, খাতার কয়েক পৃষ্ঠা পড়লেই বুঝে ফেলা যায়, এই ইঞ্জিনিয়ারের জ্ঞান কতদুর। বাকিটা বুঝা যায় তার ভাইভাতে। জ্ঞানবিহীন অভিজ্ঞতার ফলাফল শুন্য। 

এবার এক কাটিং সুপারভাইসরের ইন্টার্ভিউ নেওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। প্রোডাকশন ইন্টার্ভিউ নেওয়া শেষ করে আমার কাছে খাতা সহ পাঠিয়ে দিয়েছে। জিজ্ঞাস করলাম কাজ করার অভিজ্ঞতা কত বছরের। উত্তর পেলাম পাঁচ বছর। একটু আশ্চর্য হলাম, মাত্র পাঁচ বছরে সুপারভাইজর? জিজ্ঞাস করলাম সুপারভাইজর হিসাবে কতদিন কাজ করছেন? জবাব আসল তিন বছর যাবত। তারমানে দুই বছর পরেই সুপারভাইজর হয়ে গেছে এইট পাশ করা একজন ছেলে। ভাবলাম হয়তো কাজে বেশ পারদর্শী সেইসাথে মেধাতেও। তাই কিছু প্রশ্ন করলাম কাটিং রিলেটেড। কিন্তু পুরো হতাশ হলাম। কাটিং এর প্রসেস ফ্লো সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। যদিও কনজাম্পশনের ম্যাথগুলো ভালই পেরেছে। তখন বুঝতে পারলাম সিলেক্টিভ কিছু প্রশ্ন মুখস্ত করে এসেছে। তখন জিজ্ঞাস করলাম কিভাবে সুপারভাইজর হয়েছে? তখন সত্যটা বলল যে, উনার রিলেটিভের মাধ্যমে জয়েন করেছিল। তার মাধ্যমেই সুপারভাইজর হয়ে গেছে। কথাবার্তা শেষ করে এইচ আরকে ফোনে জানানো হল যে, এ টেবিল কন্ট্রোল করতে পারবেনা। 


*লেখক স্বত্ত্বঃ- Mamun Rezwan

*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত 

Post a Comment

2 Comments

  1. স্যার,আসসালামু আলাইকুম।স্যার,আপনার কন্টেন্ট পড়ার পর আমার একটা অভিজ্ঞতা আপনার সাথে শেয়ার করি।আমি জেনারেল থেকে পড়ালেখা শেষ করে কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর এ জয়েন করি।তারপর আমি আমার মেধার বলে আই ই তে জয়েন করি।৫ বছর চাকরি করার পর পারিবারিক কারণে রিজাইন দেই।এর মাঝে অনেক কেই ইন্টার্নিশিপ করাইছি।লাস্ট ২ টা ইন্টারভিউতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। পরীক্ষার খাতায় সর্বোচ্চ নাম্বার আমার ছিল।পরে ভাইভা নিবে স্মমানিত সি.ও.ও।উনি সবাইকে এক সাথে ডাকলেন উনার রুমে।পরে কাউকে কোন প্রশ্ন না করেই একটু খারাপ ব্যবহার করলেন।খুব অবাক হলাম।পরে বললেন আমরা টেক্সটাইল ব্যাকগ্রাউন্ড নিব।অথচ সার্কুলারে বলা ছিল গ্রাজুয়েট। সারাদিন বসিয়ে রাখার পরে রাত ৮ টায় বিদায় দিল।স্যার,সত্যি বলতে কি,যারা টেক্সটাইল ব্যাকগ্রাউন্ড তারা বেশি জানে। কিন্তু আমরা জেনারেল রা যে জানি না বিষয়টা এমন না। আমাদের সুযোগ দেন।আমরাও ভাল করবো স্যার।

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রথমত আপনি লেখাটা পড়ে হয়তো জেনারেল একটা ধারনা নিয়ে ফেলেছেন। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এটা জাস্ট বিচ্ছিন্ন একটা উদারন। ভালোর ঘটনাতো এখানে আসেইনি। এমনও ক্যান্ডিডেট আমরা পেয়েছি আকাশ ছোঁয়া স্যালারি ডিমান্ড করেছে এবং বলেছে, " আমি এটা ডিজার্ভ করি কেন দিবেননা?" তাকে কম্পানি দিয়েছেও। সত্যি কথা বলতে আমাদেরও ক্রাইটেরিয়া বি.এস.সি ছাড়া আমরাও রিক্রুইট করিনা। আপনার উল্লেখিত সমস্যাটি একটি মিসম্যানেজমেন্টের উদাহরন। তবুও এক তরফা বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্তে না যাওয়া উচিৎ আমার পক্ষ থেকে। এটা খুব স্বাভাবিক যে, বর্তমানে গার্মেন্টস বা টেক্সটাইল সেক্টরটা পুরোটা টেক্সটাইল এডুকেটেড পার্সন দিয়ে সাজানো হচ্ছে।

      Delete