এই কম মনে হওয়ার কারন হলো আমরা সংখ্যা বাম দিক থেকে ডান দিকে পড়ি। ২০০ পড়তে গিয়ে প্রথমে আমাদের চোখে ২ আসে এবং আমাদের ব্রেইন ২০০-এর কাছাকাছি একটা সংখ্যা ধরে নেয় আর ঠিক যখন ২০০ না লিখে ১৯৯ লিখা পড়ি তখন আমাদের ব্রেইন বাম পাশের প্রথম সংখ্যা ১ পড়বে এবং ১০০-এর কাছাকাছি একটা সংখ্যা ধরে নিবে। ২০০ এবং ১০০ এর মধ্যে কিন্তু বিশাল একটা ফারাক আছে।
অথচ ২০০-এর তুলনায় ১৯৯-কে অনেক কম মনে হয় যদিও এদের পার্থক্য মাত্র এক।
এই লেফট ডিজিট বায়াসকে কিভাবে কাজে লাগাবেন?
সহজ হিসাব লেফট ডিজিট কমিয়ে দিন।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো কলমের দাম 3.00 টাকা থেকে 2.99 টাকা করায় গ্রাহকরা সেটাকে অনেক সস্তা মনে করেছে। কিন্তু 3.60 টাকা থেকে 3.59 টাকা করায় তেমন কোনো পার্থক্য অনুভূত হয়নি। এর মানে, আপনার প্রোডাক্টের মূল্য নির্ধারণের সময় লেফট ডিজিট কমানো সম্ভব হলে করুন। শুধুমাত্র রাইট ডিজিট কমালে সে প্রভাব তেমন পড়বে না।
যখন 3.99 কে 4.00 বা 5.00 এর সাথে তুলনা করা হয়েছে, তখন 3.99 অনেক সস্তা মনে হয়েছে। কিন্তু 3.99 কে 6.00 এর সাথে তুলনা করলে এই ইফেক্ট বেশ দুর্বল হয়ে গেছে। অর্থাৎ, পার্থক্য যত বেশি হয়, তত লেফট ডিজিট বায়াস কমে যায় ৷
লেফট ডিজিট বায়াস শুধু প্রাইসিং-এ নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, ২.৯৯ বনাম ৩.০০ রেটিং ক্ষেত্রেও এই মানসিকতা কাজ করে। দেখা গেছে, যখন গ্রাহকদের শুধুমাত্র সংখ্যা দেখানো হয়, তখন ৩.৯ রেটিং মানে তারা ৩-স্টার মনে করে, যা তুলনামূলক খারাপ বলে মনে হয়। কিন্তু যদি স্টার আইকন দেখানো হয়, তাহলে ৩.৯ রেটিং প্রায় ৪-স্টার বলে মনে হয়!
সঠিকভাবে মূল্য নির্ধারণ করুন।
যদি প্রতিযোগীর প্রোডাক্টের দাম ১৯৯ টাকা হয়, আপনি সেটাকে ৯৯ টাকা করতে পারবেন না, কারণ এতে আপনার মূলধনই উঠবে না! এক্ষেত্রে, ১৯৫ টাকা করার চেয়ে ১৮৯ বা ১৮৫ টাকা করলে সেটি আরও বেশি সাশ্রয়ী মনে হতে পারে।
*লেখক স্বত্ত্বঃ- Mamun Rezwan
*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
0 Comments