Ticker

6/recent/ticker-posts

Efficiency Formula Analysis

এফিসিয়েন্সি, যেকোন ম্যানুফেকচারিং প্রতিষ্ঠানের মাপকাঠি। অর্থাৎ আমি যদি জানতে চাই যে , X এবং Y ফ্যাক্টরির মধ্যে কোনটা ভাল। তখন আমাকে বিবেচনা করতে হবে X এবং Y ফ্যাক্টরির এফিসিয়েন্সি কত? যদি X ফ্যাক্টরির এফিসিয়েন্সি Y ফ্যাক্টরির চেয়ে বেশী হয় তবে আমি বলতে পারি যে, X ফ্যাক্টরি Y ফ্যাক্টরির তুলনায় ভাল। এখন প্রশ্ন আসতে পার, ভাল বলতে আসলে কি বুঝায়?

১. এই X ফ্যাক্টরির প্রডাক্টিভিটি বেশী।
২. এই ফ্যাক্টরির ওয়েস্টেজ বা অপচয় কম।
৩. এই ফ্যাক্টরির প্রডিউস মিনিট বেশী। অর্থাৎ অল্প সময়ে বেশী প্রোডাকশন করার ক্যাপাসিটি আছে।
৪. কম এভেইলেবল মিনিটে বেশী প্রোডাকশন পাওয়া সম্ভব।
৫. অনটাইমে প্রোডাকশন করতে পারছে তাই ওটি কম।
৬. ওয়ার্কিং এনভাইরনমেন্ট স্মুথ।
৭. অর্ডার পাওয়ার হার অন্যান্য ফ্যাক্টরির তুলনায় বেশী। 

এখন চলুন, এফিসিয়েন্সি ফর্মুলার ভিতরে প্রবেশ করি। একটু মাথা খাটিয়ে চিন্তা করি ফর্মুলাটা। 
আমরা জানি, 
 

এখানে,

Produced Minutes= SMV*Output pieces
Available minutes= Manpower* Working Hour* 60


এখানে দুইটা বিষয় এসেছে,
১. প্রডিউস মিনিট
২. এভেইলেবল মিনিট

১. প্রডিউস মিনিট
আপনার প্রোডাকশন টাইম। অর্থাৎ আপনি আপনার পন্য তৈরী করতে কত সময় নিচ্ছেন। 
যদি আপনি একটি গার্মেন্টস তৈরী করতে ৫ মিনিট সময় নিয়ে থাকেন তবে আপনার প্রডিউস মিনিট ৫

২. এভেইলেবল মিনিট
আপনার জন্য বরাদ্দকৃত সময়। অর্থাৎ  উপরে উল্লেখিত একটি গার্মেন্টস তৈরী করতে আপনাকে কত সময় দেওয়া হয়েছে সেটাই এভেইলেবল মিনিট। 

আরেকটু সহজ একটা উদাহরন দেওয়া যাক। 
আপনি এস.এস.সি পরীক্ষার্থী। আজকে গনিত পরীক্ষা। আপনার সময় ৩ ঘন্টা । অর্থাৎ আপনার হাতে সময় আছে ৩ ঘন্টা। এভেইলেবল মিনিট ৩ ঘন্টা বা ১৮০ মিনিট। 
 আপনি ২ ঘন্টা ২০ মিনিট বা ১৪০ মিনিট লেখার পর আর লিখতে পারছেননা। অর্থাৎ আপনার প্রডিউস মিনিট ১৪০ মিনিট। তাহলে আপনার এফিসিয়েন্সি হবে, 

=(প্রডিউস মিনিট/এভেইলেবল মিনিট)*১০০%
= (১৪০/১৮০)*১০০%
= ৭৮%


*লেখক স্বত্ত্বঃ- Mamun Rezwan

*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত
 






Post a Comment

0 Comments