Ticker

6/recent/ticker-posts

"আমেরিকার প্রনয়ন করা ট্যারিফ / আশংকা নাকি সম্ভাবনা?"

 উদ্বিগ্ন নয় কৌশলী হতে হবেঃ

আমেরিকা থেকে নতুন যে ট্যারিফ যোগ করা হয়েছে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বাকি সকল দেশের উপর, অন্য সকল দেশের মতো, এটা অবশ্যই আমাদের উপর প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এটা নিয়ে যাতে কেউ বিভ্রান্তি না ছড়াতে পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।



এখানে কয়েকটা পয়েন্ট লক্ষণীয়,

১। এটা শুধু বাংলাদেশের উপর নয়, বিশ্বের বাকি সকল দেশের উপর তা প্রযোজ্য।

২। ছবিতে দেয়া প্রায় সকল দেশ আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর যে হারে ট্যারিফ চার্জ করে আমেরিকা তার কমবেশি অর্ধেক রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ নির্ধারণ করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, চায়না ৬৭% > আমেরিকা ৩৪%, ভিয়েতনাম ৯০% > আমেরিকা ৪৬% এবং বাংলাদেশ ৭৪% > আমেরিকা ৩৭%।

৩। অনেকই মনে করছেন আমাদের গার্মেন্টস শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিন্তু আমি তা মনে করি না, বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম ৪৬% চায়না ৩৪% মিয়ানমার ৪৪% ট্যারিফ দিয়ে আমেরিকার বাজারে তাদের পণ্য বিক্রি করতে হবে সেক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ অনেক বেশী পিছিয়ে পড়বে বলে আমি মনে করি না।

৪। অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের তুলনায় আমাদের লেবার কষ্ট উল্লেখযোগ্য ভাবে কম, যা বাংলাদেশকে প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রাখবে।

বাজার অর্থনীতি সবসময় পরিবর্তনশীল, আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা করতে হলে যেকোনো সেক্টরকে রেজিলিয়েন্ট হতে হয় আর আমাদের তা আছে।


#সংগৃহীত

*লেখক স্বত্ত্বঃ- Mamun Rezwan

*রিক্যাপ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত 


Post a Comment

0 Comments